প্রকাশিত : 31-10-2024 ||
প্রিন্ট এর তারিখঃ Dec 23, 2024
সারাদেশের মতো রংপুরেও হিন্দু সম্প্রদায়ের ২য় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পালন
বিশেষ প্রতিনিধি,রংপুর। আলোর স্পর্শে আঁধার কাটাতে শক্তি ও শান্তির দেবী শ্যামা মায়ের আগমনে হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব সারাদেশের মতো রংপুরেও পালন হচ্ছে।জাঁকজমকপূর্ণভাবে প্রদ্বীপ জ্বালিয়ে মন্ডপে ও ঘরে ঘরে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস।গতকাল বৃহস্পতিবার ৩১ শে অক্টোবর সন্ধ্যা রংপুরের বিভিন্ন মণ্ডপে ও গৃহ থেকে এই উৎসব শুরু হলেও পঞ্জিকা মতে,দিবাগত রাতে শ্যামা দেবীর আরাধনায় উৎসর্গ করে দেয়া হয় পাঠা বলি।কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।শ্যামা পূজাকে ঘিরে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রংপুরের কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি,মহাশ্মশান এলাকা ভক্তদের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠেছে।সারারাত অমাবস্যা তিথীতে অনুষ্ঠিত হবে শ্যামা পূজা।প্রয়াত আত্মার শান্তির লক্ষ্যে মোমবাতী ও প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা করছেন এমন দৃশ্য চোখে পড়ছে ভক্তদের।মন্ডপে প্রদ্বীপ জ্বালাতে আসা ভক্ত লতা রাণী বলেন প্রতি বছর শ্যামা মায়ের শক্তিতে আঁধার কেটে আলোয় আলোকিত হবে দেশ ও জাতি এই অপেক্ষায় থাকি।খুব আনন্দ হয় পরিবারের সকলে মিলে আজকের আয়োজনে মায়ের আগমনে প্রদ্বীপ জ্বালিয়ে বরণ করে নিচ্ছি। আত্মীয়-স্বজন যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার শান্তিতে মোমবাতি প্রোজ্জ্বল করা।কিছুক্ষণ পর বাজি ফুটানো,ও অন্যান্য নিয়মের মধ্যে শ্যামা মায়ের অর্চনা করা হবে।গৃহে পূজার আয়োজন করা শ্রাবণী বলেন আজ বাসায় যত বিপদ-আপদ, কালো আধার আছে সব কাটিয়ে আলোকিত করে দিবে শ্যামা মা।তার শক্তিতে আমাদের শান্তি ফিরে আসবে।প্রতি বছর বাসায় মায়ের আগমনে পূজা অর্চনার আয়োজন হয়,এবারও করা হয়েছে।বাসার অর্চনা শেষে মন্দিরে গিয়ে পাঠা বলি দেয়া হবে।সব মিলিয়ে আনন্দ কাটবে পূজা এটাই প্রত্যাশা করি।