প্রকাশিত : 14-12-2024 ||
প্রিন্ট এর তারিখঃ Dec 23, 2024
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের স্মৃতিসৌধে পুস্পার্ঘ অর্পণ
বদিউজ্জামান রাজাবাবু,করেসপন্ডেন্ট,চাঁপাইনবাবগঞ্জ।সারাদেশের মতো যথাযোগ্য মর্যাদায় গতকাল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে।জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের আয়োজনে শনিবার সকালে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়। বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর সেতু (মহানন্দা সেতু) সংলগ্ন স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গণ,জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান।পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন,জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড,জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা প্রশাসন,জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর,শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর,সড়ক ও জনপথ বিভাগ,জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর,জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর,জেলা এলজিইডি, জাতীয় মহিলা সংস্থাসহ সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন সমুহ।এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সালাম,পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিম বিপিএম-সেবাসহ জেলা প্রশাসন,জেলা পুলিশ এর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা,বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।উপস্থিত ছিলেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক জেলা কমান্ডার আলহাজ্ব মোঃ বাইরুল ইসলাম,মোঃ আব্দুর রহমান টুরু,মোঃ জয়নাল আবেদীন,মোঃ মোখলেসুর রহমান,মোঃ মজিবুর রহমান।এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের ভাগ্নে মোঃ নাজমুল ইসলাম। এসময় আরও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রধান কর্মকর্তা মোঃ আফাজ উদ্দীন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নাকিব হাসান তরফদার,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ তরিকুল ইসলাম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আবুল কালাম সাহিদ, সড়ক ও জনপথ দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সানজিদা আফরিন ঝিনুক,সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছমিনা খাতুনসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ, জেলা পুলিশের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তা,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আনিছুর রহমান খানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ,স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কমান্ড,সদর উপজেলা প্রশাসন,সড়ক ও জনপদ বিভাগ,সিভিল সার্জন অফিস, শিক্ষা প্রকৌশল,ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ডেন্ট,পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন।এরপর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। স্মৃতিস্তম্ভে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।মহানন্দা নদীর পাড়ে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের শহীদ স্থানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়ক ভবন চত্বরে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুস্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে বাংলার এই বীর সন্তানকে শ্রদ্ধা জানানোর সময় জাতীয় সংগীত গেয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।শেষে বাংলার এই বীর সন্তানসহ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।দিবসটি উপলক্ষে সোনামসজিদ চত্বরে শহীদ জাহাঙ্গীরের মাজারে পুস্পার্ঘ অর্পণ, মাজার জিয়ারত, দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে জেলার মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত হন। শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা হয়। ১৯৭১ ইং সালের ১৪ ই ডিসেম্বর,শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের ৫৩তম শাহাদৎ বার্ষিকী।মহানন্দা নদীর পাড়ে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের শহীদ স্থানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়ক ভবন চত্বরে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড,জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে বাংলার এই বীর সন্তানকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।এসময় জাতীয় সংগীত গেয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।শেষে বাংলার এই বীর সন্তানসহ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।দিবসটি উপলক্ষে সোনামসজিদ চত্বরে শহীদ জাহাঙ্গীরের মাজারে পুস্পার্ঘ অর্পণ,মাজার জিয়ারত,দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।সেখানে জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত হন। শনিবার সকাল ১০ টায় সোনামসজিদ গণকবরে পুস্পার্ঘ অর্পণ ও দোয়া করা হয়।উল্লেখ্য বাংলা মায়ের দামাল সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ১৯৭১ ইং সালের এই দিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পার্শ্বে মহানন্দা নদীর তীরবর্তী গ্রাম রেহায়চর এলাকায় সংগঠিত হয় এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।পাকহানাদার বাহিনীর সাথে সুম্মুখযুদ্ধে ধ্বংস করে দেয় শত্রু বাহিনীর ১৮টি ট্রেঞ্চ ও ২০ থেকে ২২ টি বাংকার। শত্রুমুক্ত হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ।