প্রকাশিত : 17-12-2024 ||
প্রিন্ট এর তারিখঃ Dec 22, 2024
নোয়াখালীর চৌমুহনীতে শাহনাজ আক্তার পিংকি (৩৪) নামের এক গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
বিশেষ প্রতিবেদক,দৈনিক প্রথম সকাল। পরকীয়ার আহবানে সারা না দেয়ায় নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌর এলাকায় শাহনাজ আক্তার পিংকি (৩৪) নামের এক গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।অভিযুক্ত হত্যাকারী সাইফুল ইসলাম খালেদ (৩০) নিহতের দূরসম্পর্কের দেবর হন,ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর রেজাউল হকও আহত হয়েছেন।অদ্য মঙ্গলবার ১৭ ই ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার বাদশা মিয়ার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান।নিহতের বোন ফারজানা আক্তার সুমি জানান বছর খানেক আগে পিংকির ব্যবহৃত মোবাইল নষ্ট হলে সেটি ঠিক করার জন্য খালেদকে দেয়।ঐ সময় খালেদ মোবাইল থেকে কৌশলে পিংকির মোবাইল থেকে ব্যক্তিগত ছবি এবং ভিডিও নিজের মোবাইলে নিয়ে নেয়।এরপর ঐ ছবি ও ভিডিও দিয়ে পিংকিকে ব্ল্যাকমেইল করে ৭ লাখ টাকা আদায় করে।তিনি বলেন একই কায়দায় পরকীয়া ও শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা চালায়।এরপর সে আরও টাকা দাবি করে এবং পরকীয়ায় ব্যর্থ হয়ে ক্ষিপ্ত হয়।কিছুদিন আগে এ নিয়ে আদালতে মামলা করে পিংকি। গত দুই মাস আগে পিংকির স্বামী দেশে এলে এসব বিষয় নিয়ে তার উপর হামলা করে খালেদ।নিহতের দুলাভাই বাবর হোসেন জানান সকালে শ্বশুরের সাথে বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন পিংকি।ঐ সময় তারা চৌমুহনী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাদশা মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছালে খালেদ তাদের গতি রোধ করে।সেখানে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে পিংকিকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে খালেদ।পুত্রবধকেূ বাঁচাতে চেষ্টা করলে শ্বশুরও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন।পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চৌমুহনী লাইফ কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পিংকিকে মৃত ঘোষণা করে।অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিটন দেওয়ান জানান নিহত গৃহবধূ ও হত্যাকারী পূর্বপরিচিত।তাদের নিজেদের মধ্যে কোনো ঝামেলার কারণে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে।ঘটনায় একটি মামলা দায়ের প্রস্তুতি ও আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।