প্রকাশিত : 06-07-2024 || প্রিন্ট এর তারিখঃ Dec 23, 2024

যেসব বিষয়গুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে প্রাধান্য পাবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,দৈনিক প্রথম সকাল।দেশনেত্রী,জননেত্রী বঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী ৮ ই জুলাই চীন সফরে যাচ্ছেন।তার এই সফরে ঢাকা-বেইজিং উভয় পক্ষই বেশ কয়েকটি বিষয়ে প্রাধান্য দিচ্ছে।এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর ঘিরে উভয় পক্ষই ১৫টি চুক্তির প্রস্তুতিও নিয়েছে।চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার।সে কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে ঢাকার পক্ষ থেকে উন্নয়ন ইস্যুকেই প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।বিশেষ করে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের সঙ্গে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে।যেসব বিষয় প্রাধান্য পাচ্ছেঃবঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য,বিনিয়োগ,কৃষি,মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি,বিদ্যুৎ,জ্বালানি,শিক্ষা প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা প্রাধান্য পাবে।এসব খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে অন্তত ১৫টি চুক্তি ও সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।বেইজিং কী চায়ঃমাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই বার্তা দিয়েছে বেইজিং।চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বাংলাদেশের সাথে পারস্পারিক রাজনৈতিক বিশ্বাসকে আরও গভীর করতে চায় দেশটি।একই সাথে দুই দেশের উন্নয়ন কৌশলগুলোকে আরও একত্রিত,বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার উচ্চ অগ্রগতি,বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে গতি বাড়ানো,বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগের মাধ্যমে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করতে চায় বেইজিং।বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতকে অগ্রাধিকারঃদেশনেত্রী,জননেত্রী বঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত বিশেষ অগ্রাধিকার পাচ্ছে।এই খাতে অন্তত ৭ চুক্তি ও সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।বাংলাদেশ দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে।তবে এই গ্যাস আনার জন্য পাইপলাইন স্থাপন করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন হবে একশ কোটি মার্কিন ডলার।চীনের সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি হতে পারে।রিজার্ভ সঙ্কটে সহায়তাঃবৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রিজার্ভ সংকট দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। রিজার্ভ সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তার ঘোষণা দিতে পারে চীন।এদিকে বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল ব্যাংক নগদের সঙ্গে চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।দুই দেশের মধ্যে ডিজিটাল লেনদেন যেন আরো সহজ হয়,সে লক্ষ্যে এই চুক্তি সই হচ্ছে।রোহিঙ্গা ইস্যুঃরোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ,মিয়ানমার ও চীন ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে একযোগে কাজ করছে।তবে রাখাইনে অস্থিতিশীলতা তৈরি হওয়ায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি।  প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা উঠতে পারে।পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও চীনা রাষ্ট্রদূত যা বলছেনঃবঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন চীন আমাদের বড় উন্নয়ন অংশীদার।আমাদের অবকাঠামো উন্নয়ন যেমন কর্ণফুলী টানেল,পদ্মা সেতুসহ অনেক আইকনিক স্থাপনায় চীন আমাদের সহায়তা করেছে। আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় চীন ভূমিকা পালন করে আসছে।উন্নয়ন অভিযাত্রা যেন বেগবান হয়, সফরে এটাই প্রাধান্য পাবে। এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের  রাষ্ট্রদূত  ইয়াও ওয়েন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফর হবে আরেকটি ঐতিহাসিক ঘটনা।এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সফর হবে গেম চেঞ্জার।প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচিঃদেশনেত্রী,জননেত্রী বঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৮ ই জুলাই বেইজিং পৌঁছাবেন।আগামী ৯ ই জুলাই তিনি সেদেশের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সাথে বৈঠক করবেন।বৈঠক শেষে চুক্তি ও সমঝোতা সই হবে।আগামী ১০ ই জুলাই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।একই দিন চীনের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস অব চায়নার প্রেসিডেন্ট ঝাও লেজির সাথেও বৈঠক করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।এছাড়া চীন সফরে বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সঙ্গে যাচ্ছেন।তারা সেখানে চীনা ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করবেন।উল্লেখ্য এর আগে ২০১৯ ইং সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে গিয়েছিলেন।৫ বছর পর আবারও চীন সফরে যাচ্ছেন দেশনেত্রী,জননেত্রী বঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।