প্রকাশিত : 18-07-2024 ||
প্রিন্ট এর তারিখঃ Dec 23, 2024
মানিকগঞ্জে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমাবেশে টিয়ার-গ্যাস ও ফাঁকা গুলি করে ছত্রভঙ্গ
জেলা করেসপন্ডেন্ট,দৈনিক প্রথম সকাল।চলমান কোটা সংস্কারের দাবিতে মানিকগঞ্জ শহরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে পিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ-সেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।এরপর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ডের অদূরে জেলখানা গেট এলাকায় অবস্থান নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে সমাবেশ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।আজ বৃহস্পতিবার ১৮ ই জুলাই দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।এসময় ঢাকা আরিচা মহাসড়কে পুরোপুরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।পরে দুপুর দুইটার দিকে টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলি করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে মহাসড়ক থেকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছাত্রলীগের ধাওয়া ও পিটুনিতে আহত হয় কমপক্ষে ৩০ আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থী।আহতরা মানিকগঞ্জ জেলা ও মুন্নু জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।ঢাকা আরিচা মহাসড়কে আলাপ হলে আন্দোলনরত একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন সকাল ১০ টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের রফিক চত্তরে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।পরে সেখানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সমাবেশে হামলা চালায় ছাত্রলীগ।পরে যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরাও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।এসময় নিরব ভূমিকা পালন করে পুলিশ।পরে আন্দোলনরত ছাত্ররা হামলার প্রতিবাদ জানালে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলি করে।এসময় তারা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে তিন ঘন্টারও অধিক সময়মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।পরে সেখানে টিয়ারগ্যাস ও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।আহত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডাঃ মোঃ বাহাউদ্দিন বলেন, দুপুর পর্যন্ত মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে মোট ১৩ শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন।এদের মধ্যে একজন ভর্তি রয়েছে।বাকীদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুজন সরকার বলেন জেলা শহর ও মহাসড়কের আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে শিক্ষার্থীদেরকে মহাসড়ক এলাকা ছাড়তে অনুরোধ করে পুলিশ।কিন্তু তারা মহাসড়ক থেকে না সরলে সেখানে বেশ কিছু ফাঁকা গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়। তবে টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলির সংখ্যা জানাতে পারেনি জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা।