প্রকাশিত : 26-07-2024 || প্রিন্ট এর তারিখঃ Dec 23, 2024

অত্যন্ত বেদনাদায়ক অবস্থা,আজকে এতগুলো মানুষ আহত-নিহতঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিবেদক,দৈনিক প্রথম সকাল।সাম্প্রতিক সহিংস পরিস্থিতির জন্য জামায়াত-শিবির,বিএনপিকে দায়ী করে দেশনেত্রী,জননেত্রী,বঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন অত্যন্ত বেদনাদায়ক অবস্থা,আজকে এতগুলো মানুষ আহত-নিহত।অদ্য শুক্রবার ২৬ শে জুলাই বিকেলে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় আহতদের খোঁজ-খবর নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।বঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন অত্যন্ত বেদনাদায়ক অবস্থা,আজকে এতগুলো মানুষ আহত-নিহত।দেশনেত্রী,জননেত্রী,বঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন এতগুলো মানুষ, আমি তো আমার সব হারিয়েছি,বাবা-মা ভাই সব হারিয়েছি,আমি তো জানি মানুষ হারানোর বেদনা কী?আমার চেয়ে বোধ হয় আর কেউ বেশি জানে না।জামায়াত-শিবির,বিএনপির সমালোচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন এ জামায়াত-শিবির, বিএনপি, ছাত্রদল তারাই এ সুযোগটা নিয়ে,কোটা আন্দোলনের সুযোগটা নিয়ে সারা দেশব্যাপী এ ধ্বংসাত্মক কাজ করে যাচ্ছে।এদের মধ্যে কোনো মনুষ্যত্ব বোধ নেই,দেশের প্রতি কোনো মায়া-মমতা নেই,দেশের প্রতি কোনো দায়িত্ববোধ নেই।আর মানুষকে এরা মানুষ হিসেবেই গণ্য করে না।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন আমার প্রশ্ন এতে অর্জনটা কী হলো।কতগুলো মানুষের জীবন চলে গেলো।কতগুলো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হলো।সহিংসতা জড়িতদের খুঁজে বের করতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন আমি আবারও বলবো,দেশবাসীকে বলবো যারা এ ধরনের জঘন্য কাজ করে,কোথায় কে আছে খুঁজে বের করা।তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া যেন আর কখনো এদেশের মানুষের জীবন নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে।যেটা আমি কখনো চাইনি।কখনোই চাইনি এভাবে মানুষ আপনজন হারাবে,এভাবে মৃত্যুর মিছিল হবে এটা কখনও চাইনি।আজকে বাংলাদেশে সেটাই করলো।দেশনেত্রী,জননেত্রী,বঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন সেই ১৯৭১ ইং সালের কথা মনে পড়ে,২০১৩ ইং তে ৩ হাজার ৮০০ মানুষ,মানুষকে পোড়ানো,মেরে ফেলা,আবার ২০১৪ ইং তে সেই একই। ২০২৩-এর ২৮ শে অক্টোবর পুলিশকে যেভাবে মেরেছে,এবারও সেই পুলিশকে মারা না শুধু,মেরে লাশ ঝুলিয়ে রাখা।আওয়ামী লীগের (কর্মী) গাজীপুরের,তাকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা।একি বর্বরতা,একি জঘন্য।কোনো মনুষ্যত্ব বোধ নেই।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন দেশের মানুষ এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সবাইকে আহবান করবো এ যে বর্বরতা,এ যে সন্ত্রাস জঙ্গি এবং মানুষকে হত্যা,এটাতো সম্পূর্ণ জঙ্গি কাজ।মানুষের হাত কাটা,পা কাটা,রগ কাটা,চট্টগ্রামে আমাদের ছাত্রলীগের ছেলেদের ৬তলা থেকে ফেলে দেওয়া,তাদের রগ কেটে দেওয়া।পড়ে যাওয়ার পরেও তাদের ওপর হামলা।এটা কোন ধরনের বর্বরতা।বর্বরতার বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে দেশনেত্রী,জননেত্রী,বঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,দেশবাসীর কাছে এইটুকু বলবো যে যারা অপরাধী তাদের খুঁজে করে দিতে হবে।সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এ বর্বরতার বিরুদ্ধে,এ ধরনের জঘন্য ঘটনার বিরুদ্ধে।সহিংসতায় যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন সরকার প্রধান।আহতদের চিকিৎসার কোনো ঘাটতি হয়নি এবং তাদের চিকিৎসায় যা যা প্রয়োজন সব করার ঘোষণা দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন আহতদের চিকিৎসার জন্য যা যা প্রয়োজন সরকার করে যাচ্ছে এবং করবে। চিকিৎসা শেষে তাদের অন্তত আয়-রুজির ব্যবস্থা যাতে হয় সেটাও আমরা করবো।দেশনেত্রী,জননেত্রী,বঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন আমি মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখি।এখানে দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য আমি কাজ করি।আমি যা করি সব মানুষের জন্য করি।কে আমাকে সমর্থন করে,কে করে না আমি সেটা চিন্তা করি না।কারণ আমি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা।মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী করেছে তাদের সেবা করতে।সেভাবেই আমি সেবা করি।শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং দেশের সমৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন আমি চাচ্ছিলাম দেশে শান্তি থাকবে,দেশের মানুষের উন্নতি হবে,দেশের মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে।আমি সব দিকে ব্যবস্থা করেছি।মানুষের সেবা করার যা যা সবই নষ্ট করবে,সবই ধ্বংস করে দিবে,সবই পোড়াবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন কতবার আমাকে মারার চেষ্টা করেছে।তারপরও আমি সবকিছু ভুলে,সেই শোক,ব্যথা,বেদনা,বাবা-মা,ভাই সব হারানোর বেদনা,নিজের উপর এত বড় আঘাত,সবকিছু মোকাবিলা করে আমি দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।মানুষ যেন ভালো থাকে।কিন্তু সেই খানে এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা এবং তারপর মানুষগুলোর ওপর হামলা করা।মানুষের সেবা করার প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করা।এর চেয়ে কষ্টের আর কিছু হয় না।প্রধানমন্ত্রী বলেন এ যে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা।আর হাসপাতালে আক্রমণ,কোভিড হাসপাতাল ছিল সেটা পুড়িয়ে দিয়েছে,স্বাস্থ্যঅধিদপ্তর,চিকিৎসা যেখানে মানুষের সেবা সেখানে আঘাত হানা,এর চেয়ে জঘন্য কাজ আর কিছু হয় না।সরকার কোটা সংস্কারের দাবীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা তো সব দাবি মেনেই নিয়েছি।তারপর আবার কেন।সেটাই আমার প্রশ্ন। এটা কী জঙ্গিবাদকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে দেশনেত্রী,জননেত্রী,বঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন দেশবাসীকে বলবো আপনারা দোয়া করেন।যেন এ জঙ্গিবাদ এবং জুলুমের হাত থেকে মানুষ যেন মুক্তি পায়।মানুষের জীবনে শান্তি আসে।এর আগে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের খোঁজ-খবর নেন। তাদের সাথে কথা বলেন।এ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা.সামন্ত লাল সেন,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.রোকেয়া সুলতানা।