প্রকাশিত : 29-08-2024 ||
প্রিন্ট এর তারিখঃ Dec 23, 2024
হত্যা-গুম এবং মানুষের অধিকার বিলুপ্ত করা কখনোই সমর্থন করিনিঃ সোহেল তাজ
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,দৈনিক প্রথম সকাল।সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ বলেছেন হত্যা-গুম এবং মানুষের অধিকার বিলুপ্ত করা কখনোই সমর্থন করিনি৷ সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমারও অধিকার আছে বেঁচে থাকার৷অদ্য বৃহস্পতিবার ২৯ শে আগস্ট সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি৷তিনি বলেন সবার অধিকার আছে সাধারণ নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকার৷হত্যা-গুম এবং মানুষের অধিকার বিলুপ্ত করা কখনোই সমর্থন করিনি৷ সোহেল তাজ বলেন যখন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলাম তখন আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব নীতি,আদর্শ ও সততার সঙ্গে পালন করেছি৷ অন্যায় অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম৷তিনি বলেন পদত্যাগ করার পর আমার উপর নানা ধরনের চাপ ছিল৷ এখনো চাপ রযেছে।কারা যেন আমাকে ফলো করছেন।তারা হয়তো কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে।ফলে আমি নিরাপত্তার বিষয়েও শংকিত। এর আগে ২০১৯ ইং সালে অপহরণ করে তার এক ভাগনেকে ১১ দিন আয়না ঘরে রাখা হয়েছিল আর সে সময়ে গুম-খুনের প্রতিবাদ করেছিলেন বলে জানান তিনি।কারা আপনাকে ফলো করেছে বলে মনে করেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানিয়েছি সেনাবাহিনী প্রধানকেও জানাবো৷ তিনি বলেন আমি যে গেট দিয়ে ঢুকেছিলাম ওই গেটে হাই রেজুলেশনের সার্কিট ক্যামেরা রয়েছে৷আমার বিশ্বাস যে মোটরসাইকেল ফলো করেছিল তার লাইসেন্স বের করে পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব৷আজ বুধবার রাত ১০ টা ৫১ মিনিট থেকে ৫৬ মিনিটের মধ্যে সেখানে প্রবেশ করেছিলেন বলেনও জানান সোহেল তাজ। এর আগে বুধবার মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে সোহেল তাজ লিখেছেন,একজন মোটরসাইকেল আরোহী আমাকে সংসদ ভবন থেকে ফলো করে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে চলে আসে এবং একটা সময় তার বুকে লাল-নীল বাতি জ্বালিয়ে আমাকে থামতে বলে।আমি থামার পর তার পরিচয় জানতে চাই এবং আমাকে কেন থামতে বললেন তা তাকে জিজ্ঞেস করি।প্রতি উত্তরে সে আমাকে বলে যে তাদের লোক আসছে আর আমার তাদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম তিনি আমাকে চিনতে পেরেছেন কি না।জবাবে সে আমাকে বলল আমি আপনাকে চিনি,আপনি সোহেল তাজ।তারপর সে মোবাইল ফোনে বলল যে সে আমাকে থামিয়েছে এবং লোকেশন জানিয়ে আসতে বলল।আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং কারা আসছে আর কেন আমাকে থামিয়েছে জানতে চাইলাম।সে কোনো উত্তর না দিয়ে আবার ফোনে কথা বলল তারপর আমাকে বলল চলে যেতে, আর সেও মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে চলে গেল।