মোঃ শাহ আলম মিয়া,করেসপন্ডেন্ট,কোটালীপাড়া,
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ঘেরে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাচ্চু হাওলাদার বাদী হয়ে লালন হাওলাদার,নাছির হাওলাদার,জাকির হাওলাদার,মানিক হাওলাদার, তালেব হাওলাদার সহ ৫ জানকে বিবাদী করে বিজ্ঞ আমলী আদালত কোটালীপাড়া গোপালগঞ্জে একটি মামলা দায়ের করেন।
সরজমিনে জানা যায়, বাচ্চু হাওলাদারের সাথে বিবাদীদের দীর্ঘদিন যাবৎ জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।সে ঘটনায় একাধিক মামলাও রয়েছে চলমান।কুষক বাচ্চু হাওলাদার সাংকাদিকদের বলেন-আমি জমি জমা চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করি,পরিবার পরিজন নিয়ে কোন ভাবে বেচে আছি,আশা করেছিলাম দুটি ঘেরের মাছ বিক্রি করে বোরো আবাদের কাজ শুরু করব,লালন,নাছির,জাকির গংরা আমার সে আশা পূর্ন হতে দিলো না,তারা গ্যাস ট্যাবলেট মেরে আমার ঘের গুলিতে থাকা রুই,কাতল, আইড়,গজাল সহ বিভিন্ন প্রজাতির সব মাছ গুলি ধ্বংশ করে ফেলেছে,এতে আমার ১৬ লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে,আমার অন্তস্বত্তা মেয়ে সহ পরিবারের লোকজনকে মারপিট করেছে,আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
সালাউদ্দিন মিয়া, হালিম হাওলাদার,লুৎফর কাজী, মেরাজ হাওলাদার, সোহরাব হাওলাদার, সহ একাধিক এলাকাবাসী জানান-রাতের আধারে লালন জাকির গংরা গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে ঘেরের মাছগুলি মেরে ফেলেছে,বাচ্চু একজন নিরীহ সহজ সরল মানুষ,তাকে একেবারে নিঃশ্ব করে দিয়েছে,এ হেন নেক্কার জনক ঘটনার নিন্দা জানাই আমরা।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত লালন হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন-আমি ঢাকায় আছি,ঘটনার রাতে আমার ভাইয়েরা কেহ বাড়ী ছিলো না,ঘেরে গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগের বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা,আমাদের উপর মিথ্যা দায় চাপাচ্ছে।এ বিষয়ে কোটালীপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।