স্টাফ রিপোর্টার,দৈনিক প্রথম সকাল।
চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তিতে পর্নোগ্রাফি ও চাঁদাবাজি মামলায় কথিত গণমাধ্যমকর্মী রাফিউ হাসান হামজাকে আটক করেছে পুলিশ।গত ৫ ই জুলাই বিকেলে কচুয়া পৌরসভাধীন সিএনজি স্টেশন থেকে শাহরাস্তি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) জনি দে ও সঙ্গীয় ফোর্স তাকে আটক করেছে।গতকাল৬ ই জুলাই শনিবার পুলিশ রাফিউ হাসান হামজাকে চাঁদপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।উল্লেখ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (ফেসবুকে) অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে প্রচার ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মোটা অংকের চাঁদা দাবী করায় কথিত সংবাদকর্মী রাফিউ হাসান হামজার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি ও চাঁদাবাজি আইনে মামলা করা হয়েছে।
গত ১২ ই মে ২০২৪ ইং এ বিষয়ে শাহরাস্তি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের সেতরা খাঁন বাড়ীর শাহজাহান খানের কন্যা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ এ ফুটবল প্রতিকের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হনুফা আক্তার মৌসুমী (২৮)।মামলায় অভিযুক্তরা হলেন শাহরাস্তি পৌরসভাধীন নিজমেহার গ্রামের হুমায়ুন কবিরের পুত্র রাফিউ হাসান হামজা (৩৫) ও কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার জগৎপুর গ্রামের আমিনুল হকের পুত্র মোঃ ইজাজুল হক (৩২) সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন আসামী।
মামলার অভিযোগে প্রকাশ অভিযুক্ত ইজাজুল হক ও রাফিউ হাসান হামজা যোগসাজশে ভিকটিম হনুফা আক্তার মৌসুমীর ছবি দিয়ে কাটপিস অশ্লীল ছবি ও পর্নোভিডিও তৈরি করে অভিযুক্তরা।অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ৫ টি ফেক আইডি খুলে তা প্রচার করে আসছিল।অভিযুক্ত আসামীরা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হনুফা আক্তার মৌসুমীর ছবি ও ফুটবল প্রতিক সম্বলিত পোস্টারের সাথে কাটপিস অশ্লীল ছবি ও পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরি করে তা প্রচার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করে।
এসময় অভিযুক্তরা ভিকটিম হনুফা আক্তার মৌসুমীর ম্যাসেন্জার,ইমো,হোয়াটঅ্যাপস,ছবি ভিডিও গুলি পাঠিয়ে ভয়ভীতি ও হুমকি দমকী প্রদর্শন করে।ভিকটিম অভিযুক্তদের অনুনয়-বিনয় করে ফেসবুক থেকে কাটপিস অশ্লীল ছবি ও ভিডিওগুলো সরানোর জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন।অভিযুক্তরা ফেসবুক থেকে ছবি ও ভিডিও গুলো সরানোর জন্য ভিকটিম হনুফা আক্তার মৌসুমীর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল।
ভিকটিম হনুফা আক্তার মৌসুমী নিজের আত্বসন্মান, সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার কথা চিন্তা করে শাহরাস্তি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।যার ধারা ৮(১),৮(২)৮(৩)৮(৫),(ক,) পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ ইং তৎসহ ৩৮৫,দি প্যানেল কোড ১৮৬০,পর্নোগ্রাফি প্রস্তুত করিয়া ইন্টারনেট তথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রকাশ ও সরবরাহ করত,মানসিকভাবে নির্যাতন ও মর্যাদাহানি ঘটাইবার ও চাঁদাদাবী করিবার অপরাধে এ মামলা দায়ের করা হয়।যার মামলা নং ০৮,তাং ১২/৫/২০২৪ ইং।
আর ও উল্লেখ্য যে কথিত সংবাদকর্মী পরিচয়ে রাফিউ হাসান হামজা প্রবাসীর স্ত্রীদের সাথে কাটপিস অশ্লীল ছবি ভিডিও তৈরি করে ব্ল্যাকমেইল করে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আত্মসাৎ,মানবিক সংগঠনের মুখোশের আড়ালে দরিদ্র অসহায় মানুষের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা তুলে আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।এ সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ও মামলা রয়েছে ।