স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,দৈনিক প্রথম সকাল।
দেশনেত্রী,জননেত্রী,বঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন অনেক চড়াই-উতরাই,ঘাত-প্রতিঘাত,গুলি,বোমা,গ্রেনেড হামলার মুখোমুখি আমাকে হতে হয়েছে।বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি।যেখানে গেছি সেখানে হামলার শিকার হয়েছি।আমার চলার পথ সহজ ছিল না।অদ্য বৃহস্পতিবার ১ লা আগস্ট রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে কৃষকলীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি,আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে কথা তিনি।
শোকের মাসকে ঘিরে আগস্টের প্রথম প্রহর থেকে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে কৃষকলীগ স্বেচ্ছায় রক্ত দান কর্মসূচি,আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।বঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন দেশ যখন উন্নতির শিখরে উঠছে তখন পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা যড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।তারা সব মেগা প্রকল্পে হামলা চালিয়েছে।সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেনযেখানে শিক্ষার্থীদের দাবী শতভাগ মেনে নেয়া হয়েছে,সেখানে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কী যৌক্তিকতা আছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন দেশ যখন উন্নতির শিখরে উঠছে,তখন পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।তারা সব মেগা প্রকল্পে হামলা চালিয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন ওরা তো জঙ্গিবাদী হিসেবে আন্ডার গ্রাউন্ডে গিয়ে আবার ধ্বংস করার চেষ্টা করবে।সে কারণে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে এদের মোকাবিলা করা ও মানুষকে রক্ষা করার চেষ্টা সবাই মিলে করতে হবে।কারণ,বাংলার মাটিতে জঙ্গির ঠাঁই হবে না।সেভাবে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।আমি দেশবাসীকে সজাগ থাকতে এবং তাদের সহযোগিতা চাই।আমি জানি বারবার আঘাত আসবে।আমি পরোয়া করি না।আল্লাহ জীবন দিয়েছেন,একদিন নিয়েও যাবেন।কিন্তু যেখানে মানুষের জন্য কল্যাণের কাজ,সে কল্যাণের কাজ আমরা করেই যাবো।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন ১ লা আগস্ট রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যম আমরা শোকের মাস শুরু করেছি।সব সংগঠনের নেতাদের এই শোকের মাসে শুধু শোক পালন নয়,মানুষের জন্য কাজ করতে হবে,মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জাতির পিতার আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হবে।জাতির পিতা তো এ জাতির জন্য কাজ করে গেছেন। কাফনের কাপড় ছাড়া কিছুই নিয়ে যাননি। শুধু দিয়েই গেছেন। তার সেই আদর্শ আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।
১৯৭৫ ইং সালের ১৫ ই আগস্ট সেনাবাহিনীর কিছু বিপদগামী সদস্য বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।৭৫ এর ১৫ ই আগস্টের সেই ভয়াল রাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি,তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহ-ধর্মিনী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব,বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভ্রাতা শেখ আবু নাসের, জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল,২য় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল,কনিষ্ঠ পুত্র শিশু শেখ রাসেল,নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল,মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি,স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও জাতির পিতার ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত,তার ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত,কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত,দৌহিত্র সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু,ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত,আব্দুল নঈম খান রিন্টু,বঙ্গবন্ধুর প্রধান সামরিক সচিব কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ ও কর্তব্যরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নৃশংসভাবে নিহত হন।