কে এম সাইফুর রহমান,করেসপন্ডেন্ট,গোপালগঞ্জ।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস-২০২৪ ইং উদযাপিত হয়েছে।গতকাল গোপালগঞ্জে ৩১ বার তোপধ্বনি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন,সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজে দিনব্যাপী ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্প,স্বাধীনতা ও বিজয় স্মৃতিস্তম্ভের বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন,সদর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন বধ্যভূমিতে সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল,পৌর পার্কে বিজয় মেলার শুভ উদ্বোধন, সাপের খেলা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ নানা কর্মসূচির মধ্যেদিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার ১৬ ই ডিসেম্বর দিবসের সূচনালগ্নে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসটির সূচনা করা হয়। এরপর সকাল পৌনে ৯ টায় স্বাধীনতা ও বিজয় স্মৃতিস্তম্ভের বেদীতে প্রথমে পুস্পস্তবক অর্পণ করে সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান।পরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান শ্রদ্ধা জানান।
এরপর বশেমুরবিপ্রবি'র উপাচার্য অধ্যাপক ড.হোসেন উদ্দিন শেখর,গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক রাফিক শরীফের নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন,জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মাসুদ রানার নেতৃত্বে সিভিল সার্জন কার্যালয়,জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফয়জুল মোল্লার নেতৃত্বে জেলা নির্বাচন অফিস,তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জীবেতিষ বিশ্বাসের নেতৃত্বে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল,অধ্যক্ষ অধ্যাপক ওহিদ আলম লস্কারের নেতৃত্বে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ,অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ আবু হানিফ,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ বাহাদুর আলী,নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান মাহবুবের অংশগ্রহণে গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ,অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাদিকুল ইসলাম ও নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ,নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এহসানুল হকের নেতৃত্বে জেলা এলজিইডি,নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়েজ আহমেদের নেতৃত্বে গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে গোপালগঞ্জ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর,নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতিভা সরকারের নেতৃত্বে গোপালগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে গোপালগঞ্জ ওজোপাডিকো, ডাঃ গোবিন্দ চন্দ্র সরদারের নেতৃত্বে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর,উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়,উপপরিচালক নুরুল হুদার নেতৃত্বে গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস,সহকারী পরিচালক মোঃ নুরুল আলমের নেতৃত্বে জেলা সঞ্চয় অধিদপ্তর,অধ্যক্ষ শাহনাজ রেজা এ্যানীর নেতৃত্বে শেখ হাসিনার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ,প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ শওকত আলীর নেতৃত্বে বীণাপাণি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,প্রধান শিক্ষক মাহে আলমের নেতৃত্বে স্বর্ণকলি উচ্চ বিদ্যালয়,জেলা আনসার ও ভিডিপি,জেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স,জেলা পরিসংখ্যান অধিদপ্তর,এস এম মডেল উচ্চ বিদ্যালয়,অনির্বাণ স্কুল সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।এ সময় ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় স্মৃতিস্তম্ভ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সখানে শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সকাল ৮টায় শহরের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনব্যাপী ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান।সকাল সাড়ে ৯ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সুশাসন চত্বরে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরের পাশে জয় বাংলা পুকুর পাড়ের ৭১'এর বধ্যভূমি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দিবস।টি উপলক্ষে দুপুরে জেলা কারাগার,সরকারি শিশু পরিবার, শেখ রাসেল দুস্থ প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনকেন্দ্র সহ বিভিন্ন এতিমখানা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। একইসঙ্গে জোহরের নামাজের পর জেলার সব মসজিদে শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সুবিধা অনুযায়ী বিশেষ প্রার্থনা করবে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।
সন্ধ্যায় শহরের মুক্তমঞ্চে দিবসটি উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া রাতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্যদিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।দিবস ঘিরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও গোপালগঞ্জের অন্যান্য উপজেলাতেও নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়।