ঢাকা | বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আকস্মিক দুদক এর অভিযান

গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে
  • আপলোড তারিখঃ 19-12-2024 ইং
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আকস্মিক দুদক এর অভিযান ছবির ক্যাপশন: গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আকস্মিক দুদক এর অভিযান
গোপালগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট। 

গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আকস্মিক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর অভিযান পরিচালিত হয়েছে।অদ্য বৃহস্পতিবার ১৯ শে ডিসেম্বর সকাল  ৯ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জ জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মোঃ মশিউর রহমানের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়,মোঃ সোহরাব হোসেন (সোহেল),উপসহকারী পরিচালক আফছার উদ্দিন ও মোঃ আল-আমিন হোসেন এর সমন্বয়ে গঠিত টিম গোপালগঞ্জ জেলা শহরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে (সদর হাসপাতালে) সরেজমিনে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানের শুরুতে সকাল ৯ টা হতে সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত গোপনে রোগী সেজে হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের ভিডিও ধারণসহ তথ্য সংগ্রহ করে দুদক।পরিদর্শনকালে টিমের নিকট গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের যে সকল অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে তা হলো-১) বিপুল সংখ্যক রোগী (চিকিৎসা সেবা প্রত্যাশী) উপস্থিত থাকলেও বহিঃ বিভাগের অধিকাংশ চিকিৎসক ও কর্মচারীরা অনুপস্থিত ছিলেন বিধায় রোগীরা কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছিলেন না মর্মে প্রমাণ পাওয়া গেছে। (২) কয়েকজন চিকিৎসক বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন মর্মেও তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।(৩) এমআরই,সিটি স্ক্যান মেশিন দীর্ঘ ৮-১০ বছর যাবত অচল থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ সেগুলো সচল করতে কার্যকর কোন ভূমিকা রাখেননি। একটি সিন্ডেকেট ইচ্ছাকৃতভাবে সেগুলো মেরামত না করে রোগীদেরকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ে বাহিরের প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সেবা নিতে বাধ্য করে চলেছে মর্মে জানাগেছে।এ বিষয়ে অধিকতর অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। (৪) এক্স-রে মেশিনের ফ্লিম না থাকার বাহানায় দীর্ঘসময় এক্সরে করতে না পারায় সাধারণ রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। (৫) রোগীদের জন্য স্টোরে কম্বল থাকা সত্ত্বেও রোগীদের মাঝে তা বিতরণ না করায় শীতের প্রকোপে হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা কষ্ট পাচ্ছেন মর্মে দেখা যায়। (৬) উৎকোচের বিনিময়ে রোগীর মেডিকেল সার্টিফিকেট বাণিজ্যে জড়িত হাসপাতালের বেশ কয়েকজনের সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেটের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিশেষ করে পুলিশ কেসে ভর্তি হওয়া রোগী বা তার স্বজনদের নিকট থেকে ৫,০০০/- থেকে ৫০,০০০/- টাকা ঘুষ নিয়ে মেডিকেল সনদ বাণিজ্য হচ্ছে মর্মে প্রমাণ পাওয়া গেছে। (৭) রোগীদের জন্য ইসিজি মেশিন ব্যবহারে ৪০০--৫০০ টাকা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা সহ রোগীর ট্রলি ব্যবহারকারীদের নিকট থেকে অর্থ আদায় করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

এসময় গোপালগঞ্জে আলোচিত গোপাঃ জি.আর ৩৩৮/২৪ মামলায় বাক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী শান্ত সিকদার (১৪) হত্যা চেষ্টা মামলায় উক্ত হাসপাতালে জমাদ্দার পদে কর্মরত সোহেল শেখের বিরুদ্ধে উৎকোচের বিনিময়ে পুলিশ কেস সংক্রান্তে মেডিকেল সনদ পরিবর্তনের ফলে গোপাঃ জি.আর ৩৩৮/২৪ মামলার বাদী ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীর মা হ্যাপী বেগম সহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত থেকে দুদক কর্মকর্তাদের নিকট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, বিভিন্ন প্রমাণাদি সরবরাহ করেন।দুদক গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ভবিষ্যতেও দুদকের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ Daily Prothom Sakal

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের নামের খসড়া তালিকা প্রকাশ