মতিয়ার রহমান,হাওড়া,পশ্চিমবঙ্গ,ভারত।
দরজায় কড়া নাড়ছে দূর্গোৎসব,উৎসবের আমেজ সর্বত্রই,২০২৪ ইং এর গ্ৰামীন বাংলার এবারের শারদীয়া দুর্গোৎসবের আয়োজনে এক অভিনবত্ব ভাবে জন-সাধারণের সামনে উপস্থাপন করতে চলেছে উলুবেড়িয়ার মহেশপুর সার্বজনীন শারদীয়া দুর্গোৎসব কমিটির পক্ষ হতে।
দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া জেলার বীরশিবপুর স্টেশন দক্ষিনে প্রায় একশো মিটার দুরে মহেশপুর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত এই অভিনবত্ব পূজা মন্ডপ।মহেশপুর সার্বজনীন শারদীয়া দুর্গোৎসবের উনপঞ্চাশ তম বর্ষে এবারের উপস্থাপনা হলো সম্পূর্ণ সাবেকীয়ানায় ব্যবহৃত জিনিসপত্র দিয়ে আধুনিকতার ছোঁয়া দিয়ে সাজানো পরিপাটি মন্ডপ।
গ্ৰামবাংলায় ব্যবহৃত মাটির হাড়ি,মাটির ভাঁড় সহ নানান ব্যবহৃত মাটির জিনিস ও ঝাঁটা,কুলো সহ নানান গ্ৰামবাংলায় গ্ৰামীন জীবনের ব্যবহৃত জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি হয়েছে মন্ডপ।একেবারেই গ্ৰাম বাংলার সাবেকীয়ানাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা, এবং উপস্থাপনা।দূর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক দীপঙ্কর ঘোষ বলেন আমরা প্রতি বৎসর গ্ৰাম বাংলার পুরাতন জিনিসপত্র বা হারিয়ে যাওয়া বা অবলুপ্ত হয়ে যাওয়া জিনিস নিয়ে মন্ডপ সাজিয়ে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করে থাকি।
যার ফলে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় জমে,যেমন ২০২৩ ইং সালে ভাসমান নৌকার উপরে সুসজ্জিত মন্ডপ এবং ২০২২ ইং সালে জলজ ঝিনুক,কড়ি,সহ বিভিন্ন অবলুপ্ত হয়ে যাওয়া জলজ প্রাণীর জীবাশ্ম দিয়ে মন্ডপ তৈরি হয়েছিল,এবং দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো, শিল্পী মেদিনীপুর জেলার ময়নার সুশান্ত বেরা বলেন এই ধরনের মন্ডপ সাজানোর জন্য আমি দায়িত্ব পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
পূজা কমিটির সভাপতি বঙ্কিম সামন্ত,ও সনাতন ঘোষ,কর্মকর্তা জহর দাস ও সোমনাথ ঘোষ বলেন আমাদের মন্ডপে বয়ষ্ক ব্যাক্তিরা পরিদর্শন করে তাদের অতীতের কথা স্মরন করিয়ে এবারের থিম সাজানো হয়েছে এবং আগামী ষষ্ঠীর দিন শুভ উদ্বোধন হতে চলেছে।