রুবেল রানা,জেলা করেসপন্ডেন্ট,দৈনিক প্রথম সকাল।
রাজ্জাক গ্রুপের চেয়ারম্যান,চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম বাবলুর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলা পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন।অদ্য বৃহস্পতিবার ২৬ শে ডিসেম্বর দুপুরে জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী ও কার্ভাডভ্যান পরিবহন মালিক সমিতি ও ট্রাক ট্যাংকলরী কার্ভাডভ্যান এবং পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ আয়োজনে শহরের বাসস্ট্যান্ড পঞ্চগড়-দিনাজপুর সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। তবে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মানববন্ধনে ট্রাক ট্যাংকলরী ও কার্ভাডভ্যান পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি,রাজ্জাক গ্রুপের চেয়ারম্যান হাবিবুল ইসলাম বাবলুকে যারা হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে তাদের দ্রুতই যেন গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়।অন্যথায় পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন কঠোর আন্দোলনের দিকে যাবে বলে হুশিয়ার দেন শ্রমিক নেতারা।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে গত মঙ্গলবার ২৪ শে ডিসেম্বর সকালে ভুক্তভোগী হাবিবুল ইসলাম বাবলু সদরের জামালপুর ইউনিয়নের শিবগঞ্জ চৌরাস্তায় অবস্থিত বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ধারালো ছোড়া,লোহার রড,চাইনিজ কুড়াল সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল সন্ত্রাসী পথরোধ করে ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবী করে।টাকা দিতে অস্বীকার করিলে সন্ত্রাসীরা ভয়ভীতি দেখায়। এসময় ঐ এলাকার আকিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ ইউনুস আলীর হুকুমে সন্ত্রাসীরা বাবলুকে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করিতে থাকে।
এক পর্যায়ে ইউনুস আলীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বাবলুর মাথায় আঘাত করতে গেলে তিনি বাম হাত দিয়ে প্রতিহত করতে গেলে বাম হাতের কজ্বির হাড় ভেঙ্গে জখম হয়।সন্ত্রাসীদের মারধরে মাটিতে পড়ে গেলে মোঃ আলম ব্যাগে থাকা ২ লাখ টাকা নিয়ে যায়।পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
পরে ঐ দিন রাতেই ঠাকুরগাঁও সদর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাত আরো ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তিনি।এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেন পুলিশ।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হাবিবুল ইসলাম বাবলু জানান আমাকে চাঁদাবাজি ও হত্যার উদ্দেশ্যে একদল সন্ত্রাসী বেশ কিছুদিন যাবত হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে।
গত মঙ্গলবার অফিসে আসার পথে তারা আমার উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে সুবিচার চাই। এ বিষয়ে সদর থানার ওসি সহিদুর রহমান জানান মামলা হয়েছে এরই মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।তদন্ত করে বাকি আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।