ঢাকা | বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ধর্মীয় শিক্ষকের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অনশনে দুই সন্তানের জননী

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ভারল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অনশন করছেন দুই সন্তানের এক জননী।গতকাল বুধবার ৩ রা জুলাই বিকেলে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার ছাতিয়ান ইউনিয়নের আটিগ্রামে বিয়ের দাবীতে
  • আপলোড তারিখঃ 04-07-2024 ইং
কুষ্টিয়ার মিরপুরে ধর্মীয় শিক্ষকের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অনশনে দুই সন্তানের জননী ছবির ক্যাপশন: কুষ্টিয়ার মিরপুরে ধর্মীয় শিক্ষকের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অনশনে দুই সন্তানের জননী

মোঃ আশিক আলী,করেসপন্ডেন্ট,মিরপুর কুষ্টিয়া।


কুষ্টিয়ার মিরপুরে ভারল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অনশন করছেন দুই সন্তানের এক জননী।গতকাল বুধবার ৩ রা জুলাই বিকেলে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার ছাতিয়ান ইউনিয়নের আটিগ্রামে বিয়ের দাবীতে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অনশন করছেন এক নারী।ভিক্টিম সূত্রে জানা যায় আমার স্বামী একজন প্রবাসী।সে ৮ বছর সৌদি আরবে অবস্থান করছে।আমি আমার স্বামীর বাড়িতে দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করতাম।এক থেকে দেড় বছর আগে ভারল স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে মোবাইল ফোনে রং নাম্বারের পরিচয় হয়।পরবর্তীতে তা গভীর প্রেমে রূপ নেয়।


একপর্যায়ে গত এপ্রিল মাসের ২১ শে তারিখে সে আমাকে ঝিনাইদহ নিয়ে গিয়ে আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে বিয়ে করেন।পরে সে আমার নিকট হতে ৫ লক্ষ টাকা ও ৪ চার ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে নেয়। বিয়ের ২৪ দিনের মাথায় এসে গত ১৪ ই মে সে আমাকে একক ভাবে ডিভোর্স দিয়ে দেয়।এখন আমি দুই কুল হারিয়ে ফেলেছি।আমি বড় অসহায় হয়ে গেছি।যার কারণে বাধ্য হয়ে আমি আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়িতে এসে অবস্থান করছি।হয় আমাকে বিয়ে করবে না হয় আমি এই বাড়িতে আত্মহত্যা করব।ঘটনায় স্থানীয়দের সাথে কথা হলে জানা যায় আব্দুল্লাহ আল মামুন সে একজন অবিবাহিত মানুষ।আমরা মেয়েটার কথা চিন্তা করে গ্রাম্য ভাবে তাদের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।


এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাকে বাসায় পাওয়া যায়নি।পরবর্তীতে তার ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন করা হলেও নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।ঘটনার ব্যাপারে ছাতিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান উক্ত ঘটনা এই মেয়েটি মিরপুর থানায় একটি অভিযোগ করেছিল বলে শুনেছি।তারপরেও সে ইউনিয়ন পরিষদে আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছিল।মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতেই ছেলের পরিবারকে ডেকেছিলাম।পরবর্তীতে ছেলের পরিবার বিষয়টি সমাধানের জন্য তিনটি ডেট নিয়েছিল।কিন্তু তিন ডেট নিয়েও তারা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতে অনুপস্থিত থাকে।সর্বশেষ আজ শুনতে পারলাম মেয়েটি ছেলেটির বাড়িতে গিয়ে অনশনে বসেছে।




নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ Daily Prothom Sakal

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের নামের খসড়া তালিকা প্রকাশ