জেলা করেসপন্ডেন্ট,গাইবান্ধা।
টানা ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছাড়া করতোয়া ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎ সীমার ৬২ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।ফলে নদীর তীরবর্তী নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারও মানুষ।অদ্য বৃহস্পতিবার ৪ ঠা জুলাই সকাল ৯ টায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য মতে-গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।অন্য দিকে ঘাঘট নদীর পানি ৫৯ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে নিউব্রিজ স্টেশন বিপৎ সীমার ১১ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তথ্যমতে জানা যায় গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করে।এ কারণে নদীর তীরবর্তী ও নিম্ন অঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে শুরু করেছে।এসব এলাকার বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন ফসলাদি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারও মানুষ। ফলে এসব এলাকার মানুষের মাঝে বন্যা আতংকে দেখা দিয়েছে।পানি বৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধা সদর,সুন্দরগঞ্জ,ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
বিপৎ সীমার উপরে থাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত সদরের কামারজানি,ঘাগোয়া,ফুলছড়ির ফজলুপুর,এরেন্ডাবাড়ি এলাকায় প্লাবিত হতে শুরু করেছে।পানি বৃদ্ধির ফলে নিচু এলাকার ঘরবাড়িগুলোতে পানি জমতে শুরু করেছে।প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।এসব এলাকার পানিবন্দী মানুষরা গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন।
অন্য দিকে তিস্তার পানি আবারও রাড়তে থাকায় সুন্দরগঞ্জের হরিপুর,ক্যাপাসিয়া,তারাপুরের এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে।গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন ভারি বর্ষণ ও উজনের ঢলে গাইবান্ধায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বাড়ছে।তবে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।সব ধরনের ঝুঁকি মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে।