স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,দৈনিক প্রথম সকাল।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক নতুন করে আন্দোলনের ডাক দেন।এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হেফাজতে থাকা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক গতকাল রবিবার সব আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।তবে গতকালই এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক দেন বাহিরে থাকা কয়েকজন সমন্বয়ক।এরপরই অন্য সমন্বয়কদের মধ্যে কয়েকজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজ বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে এই আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জানান।
অদ্য সোমবার ২৯ শে জুলাই সকাল থেকে দুপুরে পর্যন্ত কোথাও শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির দেখা না গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাজধানীর মিরপুর ১০,ইসিবি চত্বর ও ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।ইসিবি চত্বরে জড়ো হওয়া একদল বিক্ষোভকারীকে লাঠিপেটা করে পুলিশ সরিয়ে দিয়েছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢাকার যে ৮টি স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে বলে জানানো হয়েছিল-সায়েন্স ল্যাব,নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ নম্বর গেট,প্রেসক্লাব,উত্তরার বিএনএস সেন্টার,মিরপুর–১০,মিরপুরের ইসিবি চত্বর,রামপুরা ও মহাখালী।
সকাল থেকেই এসব এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করতে দেখা গেছে।পাশাপাশি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হেলিকপ্টারের টহলও দেখা গেছে।সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে।বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমে জানান বর্তমানে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ সারাদশে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
বাড্ডা জোনের সরকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রাজম কুমার সাহা বলেন এখন পর্যন্ত কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা নেই।বাড্ডা এলাকায় স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল করছে।ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)'র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোঃ ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন বিশৃঙ্খলাসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঢাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।মানুষের জান-মালের নিরাপত্তায় মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।