বিশেষ প্রতিবেদক,দৈনিক প্রথম সকাল।
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে আটক করার বিষয়ে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর দায়িত্বশীল কেউ এখনো এর সত্যতা নিশ্চিত করেননি।ফলে আটকের বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।অদ্য মঙ্গলবার ২৭ শে আগস্ট বিকালে আরাফাতকে আটক করা হয়েছে বলে প্রকাশিত হয়।সে সময় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আটকের তথ্য জানান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ওবায়দুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান তাদের কাছে মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে আটকের কোনো তথ্য নেই। ডিবিতে খোঁজ নিয়েছিলেন,সেখানেও আটকের কোনো তথ্য মেলেনি।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহতের ঘটনায় সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে।
মোহাম্মদ এ আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের একজন থিংক ট্যাংক হিসেবে কাজ করছেন।তিনি ২০২২ ইং সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন। তিনি জুলাই ২০২৩ ইং সালে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলমকে হারিয়ে ২৮ হাজার ৮১৬ ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।পরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।পরে তিনি শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রীসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
আরাফাতের পিতা মোহাম্মদ সেতাব উদ্দিন বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক ছিলেন।তিনি শহীদুল্লাহ কায়সার এবং পান্না কায়সারের মেয়ে শমী কায়সারকে ২০০৮ ইং সালের ২৪ শে জুলাই বিয়ে করেন।২০১৫ ইং সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।এর পর বিয়ে করেন শারমিন মুস্তারিকে।মোহাম্মদ আলী আরাফাত একজন শিক্ষাবিদ।তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজমেন্ট ও নীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।
তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জ,ট্রানজিট এবং কানেক্টিভিটি,বিদ্যুৎ খাতের জন্য উপযুক্ত নীতি,যুদ্ধাপরাধের বিচার,বাংলাদেশে রাজনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র ইত্যাদির মতো বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে অনেক নিবন্ধ লিখেছেন।