মোঃ আশিক আলী,করেসপন্ডেন্ট,মিরপুর,কুষ্টিয়া।
"প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ"
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চলছে অবৈধ মাটি কাটার মহাউৎসব,উপজেলার ধুবইল,বহুলবাড়িয়া,ছাতিয়ান, মালিহাদ ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন এলাকায় ইসকেভেটর মেশিন দিয়ে অবাধে মাটিকাটা চলছে।
এ মাটি পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ চার চাকার স্টিয়ারিং টলি। টলির মাটি রাস্তায় পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাকা সড়কগুলো।ফলে দীর্ঘমেয়াদি পাকা সড়ক দ্রুতই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।এতে সরকারি অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এছাড়াও স্টারিং টলিতে পরিবহনকৃত মাটি সড়কে পড়ে থাকায় বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার সৃষ্টি করছে। মিরপুর উপজেলাতে সর্বশেষ দুই বছরে অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা এই অবৈধ স্টারিং গাড়ির সঙ্গেই সংঘটিত হয়েছে বলে জানা যায়।
এছাড়াও অধিকাংশ স্থানে ভিটা জমি কেটে খনন করে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে সরকারি রাজস্ব কমিয়ে ফেলা হচ্ছে।তবে মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাটিকাটা চললেও প্রশাসনিক ভূমিকা নেই বললেই চলে।কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে ফসলি জমির মাটি কাটায় বহুমাত্রিক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে ফেলায় এর উর্বরতা হারিয়ে যাচ্ছে। জমির হারানো পুষ্টিগুণ ফিরে পেতে প্রায় ১৫-২০ বছর সময় লাগে।এতে ফসল উৎপাদন যেমন ব্যাহত হবে,তেমনি কমে যাবে কৃষি জমির পরিমাণও।মাটি পরিবহনে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে।
আবার বিক্রির পর এসব মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে ডোবা,পুকুরসহ বিভিন্ন জলাধার ভরাটে কিংবা ইটভাটায়।জলাধার ভরাটের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রাণ-প্রকৃতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। আর অবৈধ ইটভাটার বহুমাত্রিক ক্ষতি ও দূষণ পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।