জেলা করেসপন্ডেন্ট,দৈনিক প্রথম সকাল।
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আনম এহছানুল হক মিলন বলেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে।বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে হাজারো হাজারো মামলা দেয়া হয়েছে।অনেক নেতাকর্মীরা কারাবরণ করে মারাও গেছেন।কোটা ও বৈষ্যম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকার গুলি করে হত্যা করেছে।ঐ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে দেশ ছেড়ে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়েছে।বিশ্বের যেই দেশে গনঅভ্যুত্থান হয়েছে নেতারা পাশর্^বর্তী এলাকা ছেড়ে দূরের কোন দেশে যায়।কিন্তু শেখ হাসিনা তা না করে পাশ্ববর্তী ভারতে অবস্থান নিয়েছেন।তিনি সেখানে বসে এখনো এ দেশকে নিয়ে গভীরভাবে ষড়যন্ত্র করছেন।
তিনি আরো বলেন দেশের মানুষ বুঝে গেছে শেখ হাসিনা ও তার দল স্বৈরাচারী।তাই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করতে হবে।তিনি ৬ ই সেপ্টেম্বর শুক্রবাল সন্ধ্যায় কচুয়া উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহতের স্মরনে দোয়া,উপলক্ষে বিএনপির আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পারভেজুর রহমান নবীর সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,বিএনপি কেন্দ্রী কমিটির নির্বাহী সদস্য ও মহিলা দলের সহ-সভাপতি নাজমুন নাহার বেবী ও ওলামাদলের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন।অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল আবেদীন স্বপন,সহ সভাপতি আজিজ উল্যাহ মাষ্টার,বিএনপি নেতা নূর মোহাম্মদ কচি,সাবেক সাধারন সম্পাদক শাহজালাল প্রধান,উপজেলা বিএনপি'র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ইউসুফ মিয়াজী,পৌর বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন,ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবক নুরুল ইসলাম,বর্তমান সহ-সভাপতি সফিক গাজী,সাধারন সম্পাদক লায়ন লোকমান হোসেন প্রমুখ।
এসময় কচুয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুস সালাম শান্ত, সাধারন সম্পাদক হাবিবুন নবী সুমন,সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন পাটওয়ারী,আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ অসংখ্যা নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।