জেলা করেসপন্ডেন্ট,দৈনিক প্রথম সকাল।
কুমিল্লার হোমনায় যুবলীগ নেতার মেয়েসহ চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলার অন্যতম মূল আসামী আক্তার হোসেন সুমনকে (২৭) গ্রেফতার করেছে হোমনা থানা পুলিশ।গত শুক্রবার ৬ ই সেপ্টেম্বর গভীর রাতে প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে বলে জানায় পুলিশ।ঘাতক সুমন উপজেলার শ্রীমদ্ধি চরেরগাও গ্রামের হক মিয়ার ছেলে ও ভিকটিম নিহত মাহমুদা বেগমের দুঃসম্পর্কের আত্মীয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় সুমনের সাথে দীর্ঘদিন ধরেই আত্মীয়তার পরিচয়ে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল বড় ঘাগটিয়া গ্রামের শাহ পরানের স্ত্রী নিহত মাহমুদা বেগমের।এই সুবাদে প্রায় সময় মাহমুদা বেগমের স্বামী বাড়িতে না থাকলে সে অবাধে আসা যাওয়া করতো এবং উভয়ের মধ্যে আর্থিক লেনদেনও হয়।সম্প্রতি মাহমুদা বেগম অন্য পুরুষের সাথে ফোনে কথা বলা নিয়ে এবং টাকার লেনদেন নিয়ে বিতর্ক হয় সুমনের সাথে।এরই জেরে গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে চেতনানাশক মেশানো আখের রস ও সিঙ্গারা-পুরি নিয়ে মাহমুদার ঘরে যায় সুমন। সবাই অচেতন হলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে একে একে ৩ জনকেই শ্বাসরোধে হত্যা করে সে।মৃত্যু নিশ্চিত করতেই কাঠের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে থেঁতলানো হয় মাথা ও মুখ।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জয়নাল আবেদীন বলেন ৩জনকে হত্যার ঘটনায় নিহত মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার পর ঘটনার রহস্য উদঘাটনে নামে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী সুমনকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।তিনি আরও বলেন শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে শ্রীমদ্দি চরেরগাও এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় সুমনকে। শনিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় সে।