জেলা করেসপন্ডেন্ট,দৈনিক প্রথম সকাল।
ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কচুয়ার কৃতি সন্তান মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন।মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে অদ্য মঙ্গলবার সিনিয়র সহকারি সচিব মোহাম্মদ মামুন শিবলী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।এর আগে তিনি পরিকল্পনা কমিশনের উপপ্রধান,জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের পরিচালক (প্রসাশন ও পরিবীক্ষণ),সরকারী মূদ্রনালয় (বিজিপ্রেস) উপ-পরিচালক ও পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) হিসেবে সুনাম ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন কচুয়া উপজেলার ৩নং বিতারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর (শাষনপাড়া) কাজী বাড়ীর অধিবাসী,বিশিষ্ট সমাজ সেবক মাওলানা এবি এম আবুল খায়েরের সুযোগ্য সন্তান।জানা গেছে,মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ২০০৫ ইং সালের জুন মাসে সাতক্ষীরা জেলায় ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সর্ব প্রথম চাকরিতে যোগদান করেন।পরবর্তীতে তিনি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা,ফরিদপুরের নগরকান্দা ও শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তীতে তিনি আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার,খাগড়াছড়ি জেলার বোয়ালছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও লক্ষীপুর জেলার এডিসি হিসেবে অত্যন্ত সুনাম ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ১৯৯১ ইং সালে কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নন্দনপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি,নটরডেম কলজে কলজে এইচএসসি পাস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে অনার্স-মাষ্টার্সে অধ্যয়ন শেষে ২৪তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে নিয়োগ লাভ করেন।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ছাত্র জীবন থেকেই মেধাবী,পরোপকারী,জনহিতৈষী ও একজন সাদা মনের মানুষ।তাঁর জন্মস্থান কচুয়ার নিজ এলাকায় ছাত্র জীবন থেকেই নিজেদের সঞ্চয় থেকে সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন করে এলাকার গরীব,অসহায়,মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখায় উৎসাহ প্রদান ও প্রতি বছর মাধ্যমিক পর্যায়ে বৃত্তি প্রদান করছেন।তাছাড়া তাঁর গর্বিত বাবা মাওলানা এবিএম আবুল খায়ের,তিনিও বৃহত্তর ৩নং বিতারা ইউনিয়নের সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত মুসলিম কাজী ছিলেন।
এদিকে কচুয়ার সৈয়দপুর গ্রামের কৃতিসন্তান মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব হিসেবে পদায়ান (নিয়োগ) হওয়ায় তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন কচুয়াসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষ।