বিশেষ প্রতিনিধি,ভৈরব,কিশোরগঞ্জ।
কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব এলাকার অন্তর্গত রানীর বাজারর এলাকার একটি বাসা থেকে ২ সন্তান ও বাবা-মাসহ ৪জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।দুই সন্তান ও স্ত্রীকে হত্যার পরে বাবা আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে।অদ্য মঙ্গলবার ২৬ শে নভেম্বর বিকেলে মরদেহগুলো পুলিশ উদ্ধার করে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান ৩ মাস আগে মৃত শাজাহান মিয়ার বিল্ডিংয়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠেন জনি বিশ্বাস।তিনি স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন।প্রতিদিন সকালে সে কাজে বের হয়।কিন্তু আজ তিনি বের হননি।পুলিশ জানায় বিকেল ৪টার দিকে স্থানীয়দের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।সেখানে দরজা ভেঙ্গে জনি বিশ্বাসের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।পাশেই তার স্ত্রীর মরদেহ পাওয়া যায়,যার গলা কাটা ছিল।এ ছাড়া বিছানায় শায়িত অবস্থায় ২ সন্তানের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাকসুদুল আলম জানান স্ত্রী সন্তানদের মেরে স্বামী নিজের হাতের রগ কেটে এবং গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।৪জনের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হবে।জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ আল আমিন হোসাইন জানান প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যার ঘটনা।রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ কাজ করছে।তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।