মোঃ আব্দুল কাহার ছিদ্দিকী,করেসপন্ডেন্ট,সদর,রংপুর।
রংপুর সদর উপজেলার চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষে বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেঁধেছেন কৃষকরা।ধান চাষের পাশাপাশি ভুট্টা চাষে স্বল্প খরচ এবং অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভ হওয়ায় এ উপজেলার অধিকাংশ কৃষক ঝুঁকছেন ভুট্টা চাষে।বাজারদর ভালো পেলে এবার মুখে হাসির ঝিলিক ফুটবে এমনটাই প্রত্যাশা ভুট্টা চাষিদের।সরেজমিনে দেখা যায়,রংপুর সদর উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নেই ব্যাপকহারে ভুট্টা আবাদ হয়েছে।অধিকাংশ কৃষক আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি মৌসুমে উপজেলাজুড়ে অনেক জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে।গত বছরে চেয়ে এ বছরে অনেক বেশি।
হরিদেপুর ইউনিয়নের ভুট্টা চাষী এন্তাজুল ইসলাম বলেন আমি প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও আগাম ভুট্টা চাষ করেছি।কারণ আগাম ভুট্টার চাহিদা বেশি ও দামও ভালো পাওয়া যায়। আমার প্রতি বিঘায় ভুট্টা চাষে জমি তৈরি,সার,বীজ,শ্রমিকের মজুরি ও সেচসহ অনেক টাকা খরচ হয়েছে।আশা করছি,যদি দাম ভালো থাকে তাহলে,ভুট্টা অনেক টাকা বিক্রি করতে পারব।খলেয়া,চন্দনপাট, সদ্যষ্কুরনী ও মমিনপুর ইউনিয়নের ভুট্টা চাষি আমিনুল ইসলাম বলেন আমি এ বছর প্রথমবারের মতো জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি।
গত বছরে ধান চাষ করেছিলাম তেমন লাভবান হতে পারি নাই।তাই অধিক লাভের আশায় এ বছর ভুট্টা চাষ করেছি।আবহাওয়া ভালো থাকায় এবং কোনো প্রকার রোগবালাই নেই,আশা করছি ভালো দামে ভুট্টা বিক্রি করতে পারব।উপজেলা কৃষি অফিসার তানিয়া আক্তার বলেন অধিক লাভের আশায় রংপুর সদর উপজেলার,পাঁচ ইউনিয়নে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভুট্টার চাষ।অধিকাংশ কৃষকরা ভুট্টা চাষ করেছে,কারণ আগাম ভুট্টা চাষে ফলন বেশি এবং দামও ভালো থাকে।তাই কৃষকরা আগাম ভুট্টা চাষে সাবলম্বী হচ্ছেন।আর ভুট্টা চাষের সার্বিক বিষয়ে পরামর্শ দিতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা।