মোঃ আশিক আলী,করেসপন্ডেন্ট,মিরপুর,কুষ্টিয়া।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া পদ্মা নদী পাড়ে উৎসুক জনতার ভিড়।কারণ জেলের জালে ধরা পড়েছে বিশাল আকৃতির কুমির।অদ্য মঙ্গলবার ২৪ শে ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১২টায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়ন এলাকার জেলে শরিফুল ইসলামের জালে আটকা পড়ে কুমিরটি।বন্যপ্রাণী কর্মকর্তাদের মতে যেহেতু এটি মিঠাপানির কুমির।সেহেতু পদ্মা নদীর গভীরেই অবমুক্ত করা হবে।
জেলে শরিফুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা জানান সকালে মাছ ধরার জন্যই পদ্মা নদীতে জাল ফেলেন তারা।জাল তোলার সময় সেটি ভারী লাগছিল। প্রথমে বড় কোনো মাছ আটকা পড়েছে ভাবলেও জাল কাছে আসার পর দেখতে পান জালে একটি কুমির আটকা পড়েছে।কুমির দেখে প্রথমে কিছুটা ভয় পেলেও পরে কৌশলে জাল টেনে নদীর পাড়ে এসে স্থানীয় লোকজনকে খবর দেয়।এরপরই সেখানে জড়ো হন উৎসুক জনগণ।তাদের সহায়তায় কুমিরটি ধরে বেঁধে ফেলি।পরে বন বিভাগ কুমিরটি নিয়ে গেছে।
চট্টগ্রামের পারকি সৈকতে ৭টি মৃত কচ্ছপ,মৃত্যুর কারণ নিয়ে উদ্বেগ।এদিকে ১১ ফুট দৈর্ঘ্যের কুমিরটি নদীতে আসার ঘটনা নিয়ে আতংকিত এলাকাবাসী।এ ঘটনায় সরকারিভাবে নদীর তীরবর্তী এলাকায় সচেতনতা প্রচারণা চালাতেও দাবি জানিয়েছেন তারা।খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কুষ্টিয়ার সভাপতি সাহাবুদ্দিন মিলন,তারা বন বিভাগের সহায়তায় জাল থেকে কুমিরটিকে মুক্ত করে বনবিভাগের গাড়িতে তুলে বন বিভাগের জেলা কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।
মিলন বলেন কুমিরটি উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে।এখন জেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে কুমিরটি কোথায় ছাড়া যায় সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই মোতাবেক কাজ করা হবে।এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাশ্যপী বিকাশ চন্দ্র জানিয়েছেন কুমিরটি ১১ ফুট দৈর্ঘ্যের বেশি। জেলের জালে ধরা পড়ার বিষয়টি স্থানীয়রা খবর দেয়। সেখানে গিয়ে আমরা কুমিরটি উদ্ধার করে নিয়ে আসছি। এটি পদ্মা নদীর গভীর জলে ছেড়ে দেওয়া হবে।কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিকুর রহমান বলেন নদীর তীরবর্তী এলাকায় সচেতনতা মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হবে।এ ব্যাপারে বন বিভাগের সাথে কথা বলব।