ইসলামিক ডেস্ক,দৈনিক প্রথম সকাল।
বিগত দুই বছর নির্ধারিত কোটা পূরণ করতে না পারলেও বাংলাদেশি হাজির সংখ্যা কমানো হয়নি।আগামী বছর (২০২৫ সাল) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ্ব করতে পারবেন।আজ রবিবার ২৩ শে জুন সৌদি আরব থেকে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন হজ্ব কোটা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তবে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কত জন হজ্ব করতে পারবেন সেটা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।আগামী জানুয়ারিতে হজ্ব চুক্তির সময় সেটা নির্ধারণ করা হবে।
২০২৩ ও ২৪ ইং সালেও বাংলাদেশের জন্য হজ্বের কোটা ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের।কিন্তু ২০২৩ ইং সালে ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন এবং এবার ৮৫ হাজার ২২৫ জন যাত্রী হজ্ব পালনে সৌদি আরব যান।পর পর দুই বছর হজ্ব কোটা পূরণ করতে না পারায় সৌদি আরব হজ্ব কোটা কমিয়ে দিতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যায়।
২০০৯ ইং সালে বাংলাদেশের হজ্বযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ৬২৮ জন,যা ২০১৯ ইং সালে বেড়ে হয় ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন।করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২২ ইং সালে হজ্বযাত্রীর সংখ্যা কমে দাড়ায় ৬০ হাজার ১৪৬ জনে।যদিও ২০২০ ইং সালে বাংলাদেশি হজ্বযাত্রীদের জন্য ১০ হাজার হজ্ব কোটা বাড়ানোর ঘোষণা সৌদি সরকার।সেবার ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯১ জনের কোটা বরাদ্দ হয়েছিল কিন্তু করোনার কারণে বিদেশিদের জন্য হজ্ব বন্ধ ছিল।
মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন বা ওআইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হজ কোটা নির্ধারণ করা হয়।ওআইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি দশ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে এক হাজার জন হজ্বে যেতে পারবে।বাংলাদেশের বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী হজ্বে যেতে আগ্রহীদের অনলাইনে প্রাক নিবন্ধন করতে হয়।নিবন্ধন সারা বছরই চলে।ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ্ব ব্যবস্থাপনা পোর্টালের তথ্য মতে এখনও সরকারিভাবে ৪ হাজার ৩২৩ এবং বেসরকারিভাবে ৭৮ হাজার ৮৯৫ মোট ৮৩ হাজার ২১৮ হজ্বযাত্রী প্রাক নিবন্ধন করেছেন।
হজ্বপালনের কয়েকমাস আগে সরকারের তরফ থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধনের আহবান জানানো হয়।সেক্ষেত্রে যারা আগে প্রাক নিবন্ধন করেন তালিকায় ক্রমানুসারে তারাই চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে পারেন।চূড়ান্ত নিবন্ধনের জন্য সরকার সময় নির্ধারণ করে দেয়।নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেউ যদি নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়,তাহলে তালিকা থেকে ক্রমানুসারে অন্যদের সুযোগ দেয়া হয়।