ওয়াদুদ আহমেদ,করেসপন্ডেন্ট,কালীগঞ্জ,লালমনিরহাট।
লালমনিরহাট জেলার ভারতীয় নেতারা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে আসবেন,বাংলাদেশে নির্যাতিত হিন্দু সম্প্রাদায়ের লোকজনের সাথে কথা বলবেন এমন গুজব ছড়িয়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সীমান্তে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে জড়ো করা হচ্ছে।গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে ওই উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের উত্তর গোতামারী সীমান্তে গিয়ে হাজার হাজার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন দেখা যায়।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এমন খবর ভারতীয় মিডিয়ার নজরে নিয়ে আসার কৌশল হিসাবে তিনি গুজব ছড়িয়ে সীমান্তে হিন্দু সম্প্রদয়ের লোকজনকে জড়ো করেন।তাদের ভিড় সামলাতে বিজিবি ও পুলিশকে হিমসিম খেতে হয়।পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ ও পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হিন্দু সম্প্রাদায়ের লোকজনের সাথে কথা বলেন।
ঐ এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা সনজিত ও গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া জানান ঘুম থেকে উঠে দেখি দলে দলে লোকজন সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার দিকে যাচ্ছে।তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান ভারতীয় নেতারা কাঁটা তারের বেড়ার কাছে এসেছে বাংলাদেশী নির্যাতিত হিন্দুদের সাথে কথা বলবেন।সে কারণে তারা এসেছেন কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি পুরোটা গুজব।ভারতীয় বিএসএফ ছাড়া কেউ নেই। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পার্শ্ববর্তী ডিমলা উপজেলা থেকে আসা পরশ চন্দ্র জানান ফেসবুকের মাধ্যমে তিনি জানতে পেয়েছে।
এ সীমান্তে 'ভারতীয় নেতারা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে আসবে, বাংলাদেশে নির্যাতিত হিন্দু সম্প্রাদায়ের লোকজনের সাথে কথা বলবেন। তাই আমিও এসেছি।তবে অপর একটি সুত্র বলছে, ওই এলাকায় এক আওয়ামীলীগ নেতা সরকার পতনের দিন থেকে ওই এলাকায় অবস্থান করছেন।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এমন খবর ভারতীয় মিডিয়ার নজরে নিয়ে আসার কৌশল হিসাবে তিনি গুজব ছড়িয়ে সীমান্তে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে জড়ো করেন।ঐ এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের উপর হামলা হচ্ছে এমন দাবি তুলে বৃহস্পতিবার সকালে তার লোকজন দিয়ে মানববন্ধনেরও চেষ্টা করেন তিনি।তার কূটকৌশলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
খবর পেয়ে দুপুরের দিকে ঘটনাস্থলে আসেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ ও পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সাথে কথা বলেন।কিন্তু এ নিয়ে নেতারাও কিছু বলতে পারছে না। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোনাবেরুল ইসলাম মোনা জানান সকালে গিয়ে দেখি বহিরাগত কিছু হিন্দু সম্প্রাদায়ের লোকজন দলে দলে জড়ো হচ্ছে। তারা কি কারণে জড়ো হচ্ছে তা কিছুই জানি না।তারাও বলছে না। আমি তাদের চলে যেতে বললে তারা আমার উপরও চড়াও হয়। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, আমি তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা নির্দিষ্ট করে তাদের অভিযোগ বলতে পারছে না।আবার বলছে তারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।