জেলা করেসপন্ডেন্ট,দৈনিক প্রথম সকাল।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে কলেজ ছাত্র ইমন (১৮) নিহতের ঘটনায় মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।এ মামলায় সাবেক মন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক,প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ ১৪৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।নিহত ইমনের ভাই সুমন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) মির্জাপুর থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।নিহত ইমন গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন মন্ডল বাড়ি এলাকার জুলহাস মিয়ার ছেলে।তিনি অলোয়া মনিরুজ্জামান খান বিএম কলেজ থেকে ২০২৩ ইং সালে এইচএসসি পাস করে হেমনগর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় গত ৪ ঠা আগস্ট বিকেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই হাইওয়ে থানায় একদল দুষ্কৃতিকারী হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।এসময় মহাসড়কের উপর শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।তখন পুলিশের সাথে সংঘর্ষ শুরু হলে ইমন গুলিবিদ্ধ হন।আহতবস্থায় প্রথমে তাকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।পরে টাঙ্গাইল সদর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গত রোববার (১৮ আগস্ট) ভোরে সে মারা যায়।
এ মামলার অন্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ,তানভীর হাসান ছোট মনির,হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী,ছানোয়ার হোসেন,জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের,আমানুর রহমান খান রানা,অনুপম শাজাহান জয়।এছাড়া এই মামলায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা ও কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান।এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সালাহ উদ্দিন জানান নিহত ইমনের ভাই সুমন বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় ১৫৭ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০০/৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।