সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,দৈনিক প্রথম সকাল।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সমবায় ভিত্তিক সমাজ গড়ার কোনো বিকল্প নেই।আগামীকাল শনিবার ২ রা নভেম্বর "জাতীয় সমবায় দিবস-২০২৪" উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার ১ লা নভেম্বর দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন দারিদ্র্য বিমোচনের প্রধান উপায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন,আর অর্থনৈতিক উন্নয়নের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হলো "সমবায়"। সম্মিলিত ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার দ্বারা সমবায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে স্বনির্ভরতা অর্জন ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
তিনি বলেন কৃষি,মৎস্য,দুগ্ধ,পরিবহণ,গৃহায়ন,শিল্প,বিমা,বাজারজাত করা সহ অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে সমবায় কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত।মূলধন গঠন,বিনিয়োগ,পুষ্টিচাহিদা পূরণ,নারীর ক্ষমতায়ন,আবাসন সুবিধা সম্প্রসারণ,আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান,গ্রামীণ কর্মসংস্থান বৃদ্ধি,সুবিধাবঞ্চিত নারী,৩য় লিঙ্গ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসনে সমবায় ফলপ্রসূ অবদান রাখতে পারে।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন সমবায় মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দ্বারা ন্যায়নীতি ও নিষ্ঠার ভিত্তিতে গঠিত ও পরিচালিত এক সামষ্টিক কর্মপ্রচেষ্টা।সমবায় প্রতিষ্ঠানসমূহে ভ্রাতৃত্ব,সমবেত প্রচেষ্টা ও মূল্যবোধের চর্চা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারে।এ প্রেক্ষিতে জাতীয় সমবায় দিবসের এবছরের প্রতিপাদ্য "সমবায়ে গড়বো দেশ,বৈষম্যহীন বাংলাদেশ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুর্নীতিমুক্ত এবং বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার নানামুখী উন্নয়ন ও সংস্কার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।সমবায় আন্দোলনকে বেগবান করার মাধ্যমে দেশ গড়ার এ নবযাত্রায় শামিল হতে সমবায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন সমবায় আন্দোলনকে টেকসই রূপ দিতে কৃষি ও অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগসহ উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণ ও পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।পাশাপাশি একটি জনমুখী প্রতিষ্ঠান গড়তে সমবায় কার্যক্রমের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।তিনি আরো বলেন সমবায়ের আদর্শ সকল ধরণের বৈষম্য দূর করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে-এটাই সকলের প্রত্যাশা।