মোঃরনি বাবু,করেসপন্ডেন্ট,কালাই,জয়পুরহাট।
জয়পুরহাটের কালাইয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সুধী ও কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।অদ্য সোমবার বিকেলে কালাই বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কালাই উপজেলা শাখা আয়োজনে সুধী ও কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এসময় কালাই বাসস্ট্যান্ড চত্বরে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হন উপজেলার প্রায় ৬ হাজার নেতাকর্মীরা।সেখানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর স্রোলগানে মুখরিত হয়ে উঠে বাসস্ট্যান্ড চত্বরে।
উক্ত সুধী ও কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জয়পুরহাট জেলা শাখার আমীর ডাঃ ফজলুর রহমান সাঈদ।এই সমাবেশে উপজেলার উলামা মাশায়েখ সভাপতি মাওলানা মোঃ মোজাফ্ফর রহমান-এর সঞ্চালনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কালাই উপজেলা শাখার আমীর মোঃ আব্দুর রউফ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জয়পুরহাট জেলা শাখার সেক্রেটারী মোঃ গোলাম কিবরিয়া,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারী এসএম রাশেদুল আলম সবুজ,জেলা জামায়াতের শুরা সদস্য মাওলানা নূরুজ্জামান সরকার,কালাই উপজেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মোঃ তাইফুল ইসলাম,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উপজেলার সিনিয়র নেতা ও মাস্টার মাওলানা মুনছুর রহমান,জামায়াতে বাংলাদেশ ইসলামীর উপজেলা শাখার সেক্রেটারী প্রভাষক মোঃ আব্দুল আলীম,উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মওলানা ইমতিয়াজ আলী,মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ সাহেব আলী,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মাত্রাই ইউনিয়ন আমীর হাফেজ মোঃ আব্দুস সোবহান,উদয়পুর ইউনিয়ন আমীর মোঃ আব্দুস সোবহান,জামায়াতে ইসলামীর জিন্দারপুর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান,পুনট
ইউনিয়ন আমীর মোঃ আজিজুল হক,আহম্মেদাবাদ আমীর মোঃ গোলাম আজম,কালাই পৌরসভা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা শিবির সভাপতি মোঃ মাসুদ রানা সহ স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতৃবৃন্দরা।
এসময় বক্তারা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তরুণদের এমন শিক্ষা দিতে চায়,তারা আল্লাহর ভয় করবে,মানুষকে ভালোবাসতে শিখবে,দেশকে ভালোবাসতে শিখবে।যেন কোনো মামা-খালুর তদবির চলবে না।যার যার যোগ্যতায় তারা চাকরি পাবে।জামায়াত সেই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে।জামায়াত এমন বাংলাদেশ চায়,যেখানে হিংসা হানাহানি ও প্রতিহিংসার রাজনীতির কবর রচিত হবে।প্রতিশোধের রাজনীতি না চাইলেও ফ্যাসিস্ট সরকারের খুন হত্যা,গুম এবং অর্থ চুরির বিচার হতে হবে।ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছর ধরে তারা জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে।অসংখ্য মায়ের কোল খালি করেছে,অসংখ্য বোনকে বিধবা বানিয়েছে।অসংখ্য সন্তানকে এতিম বানিয়েছে। কাউকে করেছে গুম,কাউকে করে খুন। তাদের ন্যায়বিচার করা হবে।
তারা আরও বলেন দেশের ১৮ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে যারা হাতে অস্ত্র নিয়ে গুলি ছুড়েছিল,তাদের কাছে ভোট চাওয়ার নৈতিক অধিকার আর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেই।তাদের নাম আর জনগণ শুনতে চায় না।তাদের জাতি আর প্রকাশ্যে হাঁটতে দেবে না।আগে তাদের বিচার হবে।যে আদালতে জামায়াত নেতাদের অন্যায়ভাবে জুলুম বিচার করে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে,সেই আদালতে তাদের আসতে হবে। তারা অন্যায় করেছে,জুলুম করেছে, লুটপাট করেছে,বৈষম্য করেছে।তবু আমরা বিশ্বাস করি ন্যায়বিচারের মধ্য দিয়ে তারা যে পাওনা বুঝে পাবে,তাতে তাদের সাধ মিটে যাবে।