বিশেষ প্রতিনিধি,দৈনিক প্রথম সকাল।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সফররত পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা।অদ্য সোমবার ১৬ ই ডিসেম্বর বিকেলে বঙ্গভবনে পৌঁছালে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি।পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন পূর্ব তিমুরের কোনো প্রেসিডেন্টের এটাই বাংলাদেশে প্রথম সফর।তিনি আশা করেন প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তার সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি দু'দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়বে।
রাষ্ট্রপতি বলেন স্বাধীনতার পর পূর্ব তিমুরকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম সারির দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।রাষ্ট্রপতি দু'দেশের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা,দারিদ্র দূরীকরণ,চিকিৎসা,অবকাঠামো ও মানব সম্পদ উন্নয়ন,জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানব সম্পদ উন্নয়নের গুরুত্ব উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন গবেষণা,প্রশিক্ষণ এবং উচ্চশিক্ষার জন্য সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে দুদেশের একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশে পূর্ব তিমুরের অনারারি কনস্যুলেট চালু করার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি এর ফলে দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং বাণিজ্য বিনিয়োগসহ বহুপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।রাষ্ট্রপতি বলেন বাংলাদেশে অনেক দক্ষ চিকিৎসক,প্রকৌশলী,কৃষিবিদ,তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞসহ স্নাতক ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তি রয়েছে।
তিনি বলেন বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি কাজে লাগিয়ে পূর্ব তিমুর তাদের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে পারে।পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা বলেন বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নকে তার দেশ গুরুত্ব দেয়।তিনি আশা করেন বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুর উন্নয়নের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রসমূহকে কাজে লাগাতে একসঙ্গে কাজ করবে।সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন,পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং রাষ্ট্রপতির সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।পরে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।