স্টাফ রিপোর্টার।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আমতলী ইউনিয়নের ছোট-দক্ষিণপাড় বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমাম,উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কুরপালা মাদ্রাসার ছাত্র এবং উনশিয়া গ্রামের জামাল হাওলাদারের ছেলে মাওঃ মানছুর হাওলাদার (২২) কর্তৃক ৭ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক মানছুরকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কোটালীপাড়া থানার এসআই কামরুল ইসলাম সহ সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গোপালগঞ্জ সদর থেকে গ্রেফতার করে তাকে।
জানা যায় গত মঙ্গলবার বিকেলে পানি আনার ছলে ১ম শ্রেণির ঐ শিক্ষার্থীকে মসজিদ সংলগ্ন কক্ষে ডেকে নিয়ে হাত পা মুখ বেধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে লম্পট ইমাম।এ ঘটনা প্রকাশ করলে হত্যার হুমকিও দেয় শিশুটিকে।বাড়ী ফিরে ঘটনাটি অভিভাবকদের জানালে চিকিৎসার জন্য মেয়েকে কোটালীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনেরা।অবস্থার বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভুক্তভোগিকে গোপালগঞ্জ প্রেরণ করেন কতর্ব্যরত চিকিৎসক।
বিষয়টি জানা জানি হলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয় এলাকায়।ঘা ঢাকা দেয় লেবাসধারী ধর্ষক মানছুর হাওলাদার।এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য তার বাড়ীতে গিয়েও কাউকে পায়নি গণমাধ্যম কর্মীরা। এ ঘটনায় শিশুটির পিতা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-০৯, তারিখ-১৩/ ০৭/২০২৪ইং।অন্য দিকে ধর্ষণের ঘটনা এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে ধামাচাঁপা দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালায় প্রতিবেশি ইলিয়াস মোল্লা সহ কয়েকজন মোড়ল।এমনটাই জানিয়েছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগীর মা বাবা এই প্রতিবেদককে বলেন-আমার মেয়ের এতবড় সর্বনাশকারী ইমাম মানছুরের ফাঁসি চাই আমরা।আমতলী ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান হান্নান শেখ জানান-মসজিদটি আমি পরিচালনা করি,মানছুর কয়েকমাস পূর্বে ইমাম হিসাবে যোগদান করেছে, সে মসজিদে বসে একটি খারাপ কাজ করে ফেলেছে।এ বিষয়ে কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইন চার্জ ফিরোজ আলম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন-শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।