বিশেষ প্রতিনিধি,দৈনিক প্রথম সকাল।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বর্তমান প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন হোসেন পদত্যাগ করেছেন।আওয়ামী লীগের বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সহ বিশেষ অতিথির ভূমিকায় আমন্ত্রিত থাকে এবং উপস্থিত হয়।এই প্রিন্সিপালের সাবেক ড্রাইভার ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৮ম সেমিস্টারের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে।এবং এর বিরুদ্ধে যাতে কোনো ব্যাবস্থা না নেয়া হয় সে জন্য ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ক্যাডার মেহেদির সাহায্য সবকিছু ধামাচাপা দেয়।
আওয়ামীলীগের প্রোগ্রামের কারনে প্রিন্সিপাল পরীক্ষার ডেট পেছানো সহ ক্লাস বন্ধ রাখার মতো ঘৃণিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভিন্ন সময়।এই প্রিন্সিপালের মদ'দে ছাত্রলীগ প্রতিটি ফাইনাল পরিক্ষার আগে প্রশ্ন ফাঁস করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।যার একটা বড় অংশ প্রিন্সিপাল নিজেও পেতো।হল থেকে বিদ্যুতের চোরাই সংযোগ দিয়ে আশপাশের অটোরিকসা ও ভ্যানে চার্জিং এর ব্যাবসা করে ছাত্রলীগ।যার সিংহভাগ অংশ নেয় প্রিন্সিপাল।
ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জিনিস এবং কর্মচারীদের সে ব্যাক্তিগত কাজে ব্যাবহার করে।যার সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে অটোমোবাইল ডিপার্ট্মেন্টের জন্য বরাদ্দ একটি গাড়ি সে নিজে ব্যাবহার করে।ক্যাম্পাসের বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর খেলার মাঠ কে আওয়ামী লুটেরাদের হাতে ইযারা দিয়ে সেখান থেকে মাসিক বড় অংকের টাকা সে আদায় করে।শিক্ষকদের কোয়াটার সাধারণ জনগণের কাছে দিয়ে ঠিক বড় অংকের টাকা আয় করতে প্রিন্সিপাল।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের নানান সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী মেহেদী কে কনট্রাক দেয়া হতো।এবং কোনরকম মালামাল না কিনে টিয়ার দের কাছ থেকে 'মালামাল বুঝিয়া পাইলাম 'মর্মে জোরপূর্বক সিগনেচার নিয়ে লক্ষ লক্ষ, কোটি টাকা এই প্রিন্সিপাল এবং সন্ত্রাসী মেহেদী আত্মসাৎ করেছে।
ক্যাম্পাসের উন্নয়নমূলক কোন বাজেট সরকার থেকে আসলে তার ২০ পার্সেন্টও ক্যাম্পাসের কাজে ব্যবহার করা হয় না এরকম অসংখ্য নজির রয়েছে।চাঁদাবাজি,দখলদারী,হলে সিট বাণিজ্য,নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি,সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন সহ সকল অপকর্ম ছাত্রলীগ স্বাচ্ছন্দে করেছে এই শিক্ষকরুপি অবৈধ প্রিন্সিপালের মদদে।এবং সর্বশেষ যে নির্মমতা সে দেখিয়েছে তা হলো।
গত ১৭ ই আগস্ট সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হল বন্ধ ঘোষণা করলেও পলিটেকনিকের সব হলে ছাত্রলীগের শক্ত অবস্থান ছিল এবং এবং তারা হলে থেকে এই প্রিন্সিপালের মদদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে।আন্দোলন চলাকালীন সময় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা সাধারণ শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে সন্ত্রাসী মেহেদী নির্মম নির্যাতন করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে প্রিন্সিপাল'কে জানালেও সে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।এমনকি পরবর্তীতে সে সকল শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর পর্যন্ত নেয়নি।যার মধ্যে একজন হচ্ছে জহির রায়হান হলের সাদ্দাম সাদ্দাম।
সুতরাং তার অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে সে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর প্রিন্সিপালের দায়িত্বে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে।হাজার হাজার ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন এই বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই আওয়ামী প্রিন্সিপালের কাছে পরাধীন থাকতে পারেনা।