বিশেষ প্রতিনিধি,দৈনিক প্রথম সকাল।
পবিত্র হজ্বের খরচ কমানো সম্ভব।এটা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়েছে।বিষয়টি নিয়ে কাজ করতেসংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যৌক্তিক পর্যায়ে একটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে তারা।গত বছরের চেয়ে আসন্ন হজ প্যাকেজের মূল্যকমানো সম্ভব বলে মনে করে সরকার।অদ্য বৃহস্পতিবার ২৯ শে আগস্ট রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।সভা শেষে এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন হজ্ব একটা বড় ব্যাপার মুসলমানদের জন্য। কিন্তু হজের মতো পবিত্র কাজেও একটি সিন্ডিকেট দেখতে পাই।তারা কারসাজি করে হজ্বের প্যাকেজ মূল্য বাড়িয়ে তোলে। হজের যে খরচ,সেটি যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনা যায়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে।কত হতে পারে,কত কমানো যেতে পারে সেই আলোচনা হয়। বর্তমান প্যাকেজ যে অনেক বেশি, সেটি কমিয়ে আনা সম্ভব,সে বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।
গত বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দু'টি প্যাকেজ ঘোষণা করে তৎকালীন সরকার। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্বে যাওয়ার সর্বনিম্ন প্যাকেজ ছিল পাঁচ লাখ ৭৯ হাজার টাকা।আর বেসরকারিভাবে সর্বনিম্ন প্যাকেজ ছিল প্রায় পাঁচ লাখ ৯০ হাজার টাকা।এ বছর এখনও প্যাকেজ ঘোষণা হয় করা হয়নি,প্রাক নিবন্ধন চলছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধন শুরু হয়ে চলবে ৩০ শে নভেম্বর পর্যন্ত। প্রাথমিক নিবন্ধনের সময়ের পর আর সময় বাড়ানো হবে না। গত ২৬ শে আগস্ট ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ বছর এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশি পবিত্র হজ্ব পালন করতে পারবেন।সৌদি সরকার আরও আগেই বাংলাদেশের জন্য এই কোটা ঘোষণা করেছে।এর আগে ১৭ ই আগস্ট রাতে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ধর্ম উপদেষ্টা হজের খরচ যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনার কথা বলেন।