নিউজ ডেস্ক।
উচ্চ শিক্ষার জন্য ১৬ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান রেহানা পারভীন।সেখানেই পরিচয় হয় আওলাদের সাথে এবং পরে বিয়ে করেন তাকে।পরবর্তীতে গ্রহণ করেন সে দেশের নাগরিকত্ব।তিন মেয়ে,এক ছেলের জননী রেহানা পারভীনের গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার পাতিলঝাঁপ গ্রামে। তার বাবার নাম লেহাজ উদ্দিন।
জানা যায় তিন মাস আগে বড় মেয়ে আহাদ নূরকে নিয়ে দেশে আসার পর নিখোঁজ হন রেহানা।এ নিয়ে ঢাকার নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার মা আইরিন আক্তার।এরপর এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয় ঢাকার অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন ও তাদের অনুরোধে সারা দেয় আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল। সংস্থাটির দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে নিখোঁজ রেহানাকে খুঁজতে গিয়ে সাভারের চাকলগ্ৰাম চৌরাপাড়া গ্রামের ননদের বাড়ির আঙ্গিনা থেকে উদ্ধার করা হয় অর্ধগলিত মরদেহ।এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয় রেহানার ননদ পাপিয়া আক্তার ও তার সহযোগী আমজাদ হোসেনকে।
রেহানার পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায় গত ২৯ শে জুন অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফেরেন রেহানা।পরদিন ৩০ শে জুন তিনি বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি যান।সেখানে কয়েকদিন থাকার পর ৩ রা জুলাই তিনি তার বাবার বাড়িতে ফোনে করে জানান তাকে মারধর করা হয়েছে।তারপর থেকেই নিখোঁজ হন রেহানা।এ ঘটনায় গত ৩ রা জুলাই নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি ও ৮ ই সেপ্টেম্বর চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করে নিহত রেহেনার পরিবার।তাতে আসামি করা হয় স্বামী আওলাদ হোসেন তার চাচা আমজাদ হোসেন ও ননদ পাপিয়া আক্তার।এছাড়া মাকসুদা নামে আরও একজনকেআসামি করা হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর মোহাম্মদ খান জানান পারিবারিক বিরোধের কারণেই তাকে হত্যা ও পরে মাটিতে পুঁতে রাখা হতে পারে। মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।