মতিয়ার রহমান,হাওড়া,পশ্চিমবঙ্গ,ভারত।
সারা দেশব্যাপী জামায়াতে ইসলামী হিন্দের উদ্যোগে মাসব্যাপী চলছে প্রচারাভিযান এবং প্রচারের অংশ হিসেবে হাওড়া জেলা শাখার উদ্যোগে প্রচারাভিযান চললো সর্বত্রই।চলতি সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং এর ১ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত এই প্রচারাভিযান চলেছে এবং প্রচারাভিযানের বিষয় ছিল "নৈতিকতাই স্বাধীনতার ভিত্তি"।
এই প্রচারাভিযান উপলক্ষে জামায়াত ইসলামী হিন্দের ছাত্র,যুব মহিলা,সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনের উদ্যোগে সারা মাসব্যাপী নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রচারাভিযান চালানো হয় সর্বত্রই।অদ্য
রবিবার জামায়াত ইসলামী হিন্দের জেলা অফিস উলুবেড়িয়ার নিমদিঘীতে সোসাইটি আফলিফ্টমেন্ট সেন্টারে এক মনোজ্ঞ সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়,আলোচ্য বিষয় ছিল "বিপর্যষ্ত নৈতিকতা উত্তরের উপায়"।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ জামায়াত ইসলামী হিন্দের রাজ্য সভাপতি ডঃ মসিউর রহমান।তিনি তার মুল্যবান বক্তব্যে বলেন প্রাচীন যুগে ছিল ক্রীতদাস প্রথা সহ নানান অমানবিকতা,কিন্তু বর্তমানে আধুনিক যুগে আজ আমরা নীতি নৈতিকতার মান আমরা সবকিছুই আস্তে আস্তে হারিয়ে ফেলেছি এবং ক্রমাগত প্রাচীন যুগের পথে ফিরে যেতে চলেছি।আমদের ক্রমাগত নীতি নৈতিকতা যাতে সকল মানব জাতির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ফিরে আসে তার জন্য এই সারা মাসব্যাপী বিশেষ প্রচারাভিযান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত স্বামী অনাহতনন্দজী মহারাজ তার মুল্যবান বক্তব্যে বলেন নৈতিকতার বোধ,বা মানবিক মূল্যবোধ আমাদের প্রতিটি মানুষের মধ্যে আছে কিন্তু আমরা কার্যকর করতে পারিনি,বা বিভিন্ন ভাবে তা প্রতিহত করা হয়। কিন্তু আমাদের নৈতিক মুল্যবোধ বেশি ফিরিয়ে আনতে হবে বলে জানান।
পশ্চিমবঙ্গ জামায়াতের দাওয়াত বিভাগের সহঃ সম্পাদক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জনাব আলিমুদ্দিন তিনি বলেন সমাজের প্রতিটি মানুষ মানুষের ব্যবহারে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে একটাই কারণ নৈতিকতার অবক্ষয়।তিনি আরো বলেন আমরা প্রতিটি মানুষের কাছে মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার মান ফিরিয়ে আনার জন্য আহ্বান জানান।
জেলা জামায়াতের সভাপতি ডাঃ নুর আহমেদ মোল্লা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন।আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন ধর্মের জায়গায় রাজনৈতিক প্রবেশ বন্ধ করতে হবে এবং তবেই আমাদের মধ্যে নৈতিকতা আসবে।যুগে যুগে মহাপুরুষের জন্ম হয়েছে এবং তারা প্রত্যেকেই মানবতার জন্য প্রচার করে গেছেন।কিন্তু আজ নৈতিকতার অবক্ষয় শুরু হয়েছে বলে বক্তব্যে বলেন বদরুদ্দোজা মোল্লা।
নৈতিকতার উপর ভিত্তি করে আবৃত্তি করেন শ্রীমতী রত্মা কয়াল।বক্তব্য রাখেন সমীর কুমার মন্ডল,স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন জুবায়ের আহসান,কবিতা বলেন কবি কৌশিক গৌতম,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কানন চট্টোপাধ্যায়,পশ্চিমবঙ্গ
জামায়াতের রাজ্য সম্পাদিকা নেত্রী রেহানা সুলতানা,জেলা নেত্রী সুমাইয়া সুলতানা,প্রমুখ।