নিজস্ব প্রতিনিধি,দৈনিক প্রথম সকাল।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার যুক্তরাজ্যে যাওয়ার বিষয়'টি তদারকি করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।অদ্য বুধবার ৩০ শে অক্টোবর দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।এর আগে গতকাল মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ ই নভেম্বর লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।তার সাথে যাবেন মেডিকেল বোর্ডের ৭ চিকিৎসক।
জাহিদ হোসেন জানান বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া প্রথমে লন্ডনে যাবেন ছেলে তারেক রহমানের কাছে।বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে।পরে লন্ডন থেকে তৃতীয় একটি দেশে নিয়ে তাকে কোনো একটি "মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টারে" ভর্তি করা হবে।৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস,হৃদরোগ,ফুসফুস,লিভার,কিডনি,ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন।তিনি রাজধানীর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত বছরের ৯ ই আগস্ট খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।সে সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে তার পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি।পরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপার্সনের রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় ২৭ শে অক্টোবর।তার স্বাস্থ্য কিছুটা স্থিতিশীল হলে সে দফায় ৫ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে চলতি বছরের ১১ ই জানুয়ারি তিনি বাসায় ফেরেন।
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দুর্নীতির ২ মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ ইং সালের ৮ ই ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন।২ বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দি ছিলেন।পরিবারেরআবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ ইং সালের ২৫ শে মার্চ স্থগিত করে তাকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়।তখন থেকে ছয় মাস পরপর মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।তবে ক্ষমতার পালাবদলের পর অন্তর্বতী সরকার দুর্নীতির মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।