বিশেষ প্রতিনিধি,দৈনিক প্রথম সকাল।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে শহিদুল ইসলাম নামের এক ভুয়া হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের প্রতারণা ও নকল ওষুধ বানিয়ে বাজারজাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।সে দীর্ঘদিন যাবত নকল ওষুধ তৈরি করে সাধারণ রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছে বলে জানা গেছে।অদ্য শুক্রবার ২০ শে ডিসেম্বর বেলা ১১ টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের বাথান ডাঙ্গা বাজারে যৌন উত্তেজক ওষুধ তৈরির সময় বাথান ডাঙ্গা বাজারের জনৈক ব্যবসায়ী মোঃ কামাল তা দেখে ফেললে তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরকে বিষয়টি জানান।
পরে খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরি সরেজমিনে গিয়ে দেখেন বাথান ডাঙ্গা বাজারের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক শহিদুল ইসলাম ও তার দুই সহযোগী নকল ওষুধ তৈরির পর বোতলের গায়ে মোড়ক লাগাচ্ছিলেন। সেই দৃশ্য ভিডিও করতে গেলে অভিযুক্তরা হাত থেকে ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকেন। অভিযুক্ত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক শহিদুল ইসলাম একই ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের চা দোকানি সিরাজ শেখের ছেলে।সে ৪ বছর আগেও জয়নগর বাজারের ফার্নিচার ব্যবসায়ী রফিক খানের কর্মচারী ছিলেন।
রফিক খানের সাথে যোগাযোগ হলে এ বিষয়ে তিনি বলেন শহিদুল আমার দোকানে ফার্নিচারের কাজ করত,সে হঠাৎ করে কিভাবে এতো বড় ডাক্তার হলো আমিও বুঝতে পারছি না।তবে মাঝে মধ্যে তার বড়লোকি ভাব দেখে অবাক হই।মহেশপুর গ্রামের মিজান মৃধার নিকট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক শহিদুল ইসলাম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন ডাক্তার শহিদুল ইসলাম একজন ভুয়া ডাক্তার, সে কখনোই স্কুলের বারান্দায়ও যায়নি। তাহলে সে কিভাবে এত বড় ডাক্তার হলো? তা নিয়ে সন্দেহ আছে।বাথান ডাঙ্গা বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের কট এ ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান।