ঢাকা | বঙ্গাব্দ

তাবরিজে সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির শেষ বিদায়ে লাখো মানুষের ঢল

তাবরিজ, সদ্য ,প্রয়াত ,প্রেসিডেন্ট ,ইব্রাহিম, রাইসি,শেষ ,বিদায়, লাখো ,মানুষ, ঢল
  • আপলোড তারিখঃ 21-05-2024 ইং
তাবরিজে সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির শেষ বিদায়ে লাখো মানুষের ঢল ছবির ক্যাপশন: তাবরিজে সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির শেষ বিদায়ে লাখো মানুষের ঢল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,দৈনিক নাসা নিউজ।

সদ্য প্রয়াত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি,পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দোল্লাহিয়ান ও অন্যান্য সহযাত্রীদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে।অদ্য মঙ্গলবার ২১ শে মে এ তথ্য দিয়ে ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের জানিয়েছে সকালে ইরানের তাবরিজ শহরে নিহতদের জানাজা হয়েছে।প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সাত সহযাত্রীর দাফনে যোগ দিতে শহরটির একটি কেন্দ্রীয় স্কয়ার থেকে হেঁটে রওনা হন লাখো ইরানি।এ সময় তাদের হাতে ছিল ইরানের পতাকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্টের ছবি।এরপর রাইসির দেহ নিয়ে যাওয়া হবে তেহরানে।সেখানে তার ২য় জানাজা শেষে বুধবার মাশাহাদে নিয়ে যাওয়া হবে।জন্মশহর মাশাহাদেই রাইসির দাফন হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির বার্তাসংস্থা ইরনা।


প্রসঙ্গত রবিবার ১৯ শে মে আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি।এরপর হেলিকপ্টারে চড়ে ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি।কিন্তু তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি।পরদিন সোমবার রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মেলে।দুর্ঘটনা কবলিত হেলিকপ্টারটি বেল ২১২ মডেলের বলে জানানো হয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে।১৯৬০ সালে একটি মার্কিন কোম্পানি দুই ব্লেডের এই মডেলটি তৈরি করেছিল কানাডিয়ান সেনাবাহিনীর জন্য।


রাইসি ছাড়াও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান,পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি,পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি ছিলেন হেলিকপ্টারটিতে।এ ছাড়া হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলট ও ক্রুও মারা গেছেন।একাধারে রাজনীতিবিদ ও বিচারক ইব্রাহিম রাইসি ছিলেন বিশ্ব রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী নেতাদের একজন। ইব্রাহিম রাইসি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত।প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার কারণেই দেশটিতে মৃত্যুদন্ডের সংখ্যা কমেছে।


৩ বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে মনে করা হয়েছিল একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন ইব্রাহিম রাইসি।ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ ইং সালের ১৪ ই ডিসেম্বর উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে।মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন।১৯৮৯ ইং থেকে ১৯৯৪ ইং সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন রাইসি।২০০৪ ইং সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপ-প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।২০১৯ ইং সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।প্রেসিডেন্ট রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপ-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এ সভা।২০২১ ইং সালে ২য় দফার নির্বাচনে ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।

    





নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ Daily Prothom Sakal

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের নামের খসড়া তালিকা প্রকাশ