জেলা করেসপন্ডেন্ট,চাদপুর।
চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার বাতাসা পট্টি এলাকায় কৃষি ব্যাংকের ২য় তলায় কক্ষের ভিতর থেকে নিরাপত্তা প্রহরী ও সরকারি কলেজের ছাত্র রাশেদ হোসেনের (৩৫)মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বুধবার(২২ মে) সকালে ঝাড়ুদার লক্ষণ কৃষি ব্যাংকের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভিতরে প্রবেশ করে রুমের ভিতর ঝুলন্ত অবস্থায় নিরাপত্তা প্রহরী রাশেদ হোসেনকে দেখতে পায়।এসময় সে ব্যাংক থেকে নিচে এসে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বিষয়টি অবগত করে। কৃষি ব্যাংকের ভিতরে নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যুর ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে ধুম্রজলের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত নিরাপত্তা প্রহরী রাশেদ হোসেন হাজীগঞ্জ এনায়েতপুর এর আব্দুর রবের ছেলে।গত ২০২২ ইং হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে চাঁদপুর সরকারি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স বিভাগে ভর্তি হয়।সে সময় রাশেদ হোসেন কৃষি ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে চাকরিতে যোগ দেয়।সে কৃষি ব্যাংকের ভিতরে একটি কক্ষে বসবাস করত সেখান থেকেই রাতে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতো ও পাশাপাশি সরকারি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতো।কৃষি ব্যাংক ম্যানেজার যুগেনস চন্দ্র পাল ব্যাংকে এসে ভিতরে প্রবেশ করে ঝুলন্ত অবস্থায় নিরাপত্তা প্রহরী লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে চাঁদপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ইয়াসিন আরাফাত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়।মৃত্যুর খবর শুনে রাশেদের পরিবারের মাঝে শোকের মাতম বইছে।এদিকে রাশেদ কৃষি ব্যাংকে চাকরি নেওয়ার পর থেকে পুরান বাজার এলাকার বেশ কয়েক জনের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক হয়।তার জীবনের সব কিছু তাদের সাথে শেয়ার করত।এই মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তার এক বন্ধু বলেন রাশেদ হোসেন একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।সে আত্মহত্যা করার মত ছেলে নয়।ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করলেই প্রকৃত রহস্য উন্মোচন হবে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শেখ মুহসীন আলম জানান রাশেদ হোসেন মৃত্যুর পূর্বে কাগজে একটি চিরকুট লিখে রেখে গেছেন।সেখানে তার বাবাকে উদ্দেশ্যে করে লিখেছেন তোমার সম্পত্তির ভাগ নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।আমার কাছ থেকে লোকজন এক হাজার ৬০০ টাকা পাবে,সে টাকা পরিশোধ করবে।আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।এ নিয়ে কোনো জটিলতা করবে না।তিনি আরও বলেন মরদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।