লাইফস্টাইল ডেস্ক,দৈনিক নাসা নিউজ।
তেলাপোকার জীবনধারণ ক্ষমতা এতটাই বেশি,যার ফলে যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাঁচতে পারে সে।স্বাভাবিকভাবেই তাই আপনার বাড়ির অন্ধকার,নোংরা এবং স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় বংশবিস্তার করতে পারে তেলাপোকা।বাড়িতে রান্নাঘরে এবং বাথরুমে সব থেকে বেশি তেলাপোকার উপদ্রব দেখতে পাওয়া যায়।বিশেষ করে রাতের বেলায় এদিক ওদিক ঘুরতে দেখা যায় এই প্রাণীটিকে।অপরিষ্কার জায়গায় জন্ম নিলেও সারা বাড়ির বিভিন্ন পরিষ্কার জায়গাতেও অবাধ বিচরণ করতে পারে এই প্রাণী।তেলাপোকা তাড়ানোর জন্য বাজার চলতি রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করেন অনেকেই,তবে তাতেও খুব একটা ভালো কাজ হয় না।তাই আজ এমন কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ের কথা জানানো হবে যা আপনাকে এই অবাঞ্ছিত অতিথির হাত থেকে রক্ষা করবে।
রান্নাঘর পরিষ্কার ও শুকনো রাখুনঃ
রান্নাঘর যদি পরিষ্কার এবং শুষ্ক না থাকে তাহলে সেখানে শুধুমাত্র তেলাপোকা নয়,বাসা বাঁধতে পারে অন্যান্য কীটপতঙ্গও।আপনার রান্নাঘরে যে জায়গাগুলি অপরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যেমন কাউন্টার টপ,স্টোভ টপ,সেগুলি বারবার মুছে পরিষ্কার করে রাখার চেষ্টা করুন।কোনও ভাবেই যাতে খাবারের টুকরো পড়ে না থাকে সেদিকে নজর দিন।এছাড়া সিঙ্ক এবং পাইপের ফুটো সঠিকভাবে বন্ধ আছে কিনা সেটাও দেখে নিন।
খাবার রাখুন সঠিক জায়গায়ঃ
যে সমস্ত খাবার বাইরে থেকে কিনে আনবেন অথবা বাড়িতে তৈরি করবেন সেগুলি সঠিক জায়গায় ঢাকা দিয়ে রাখার চেষ্টা করুন।ফল, শাকসবজি ফ্রিজে রাখুন এবং রান্না করা খাবারগুলি সব সময় ঢাকা দিয়ে টেবিলের উপর রাখুন।রাতে খাওয়ার পর বেঁচে থাকা খাবারগুলি ফ্রিজে রেখে দিন।রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবশ্যই পরিষ্কার করবেন খাবার-টেবিল।
পচনশীল বস্তু সরিয়ে দিনঃ
উচ্ছিষ্ট খাবার হোক অথবা শাকসবজির খোসা, যে জিনিসগুলি পচনশীল সেগুলি প্রতিদিন ফেলে দিন ডাস্টবিনে।একদিনের বেশি পচনশীল বস্তু যদি আপনি বাড়িতে রেখে দেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই হবে আরশোলার উৎপাত।
এন্ট্রি পয়েন্ট সিল করে রাখুনঃ
ছোট হোক অথবা বড়, যে সমস্ত জায়গায় গর্ত বা ফাটল রয়েছে সেগুলি সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিন। ইলেকট্রিকের কাজ হলে অনেক সময় বাড়িতে ফুটো করতে হয় যা পরবর্তীকালে অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে থাকে।এমন কোনও স্থান থাকলে সেগুলি সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিন।