বিশেষ প্রতিবেদক,দৈনিক নাসা নিউজ।
সাভারে পুলিশের সোর্স সন্দেহে প্রতিবেশী এক নারীকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে।অপহরণের ৫ দিন পর গ্রেফতার সাইফুল নামে এক আসামীর তথ্যে নিহত নারী সীমা আক্তারের মাটি চাপা দেয়া বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।অদ্য বৃহস্পতিবার ৬ ই জুন সাভারের বিরুলিয়া এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।পুলিশের দাবী এক নারী মাদক কারবারীকে গ্রেফতারে সহায়তা করায় তার স্বামীর পরিকল্পনায় ৪-৫ জন মিলে ওই গৃহবধূকে হত্যা করে।
নিহত সীমা আক্তার সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজনগর এলাকায় মোঃ শাহীন মিয়ার বাসায় ভাড়ায় বসবাস করতেন।তিনি মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার মুন্সি কাদিরপুর এলাকার বাসিন্দা।গ্রেফতার মাদক কারবারী সাইফুল ইসলাম সাভারের ইমান্দিপুর এলাকার বাসিন্দা।এর আগে গত ২ রা জুন খনিজনগর এলাকার ভাড়া বাসা থেকে নিখোঁজ হন ওই গৃহবধূ। এ ঘটনায় দুই দিন পর ৪ জুন সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামী করে মামলা করেন তার মেয়ে তানিয়া আক্তার।
নিহতের মেয়ে বলেন কয়েক দিন আগে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারে পুলিশকে সহায়তা করে।ওই ঘটনার পর আমার মা নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন আগে আমাকে ফোন করে জানায় স্বপন নামে নারী মাদক ব্যবসায়ীর স্বামী মাকে মারার জন্য লোক ভাড়া করেছে।এবার সেই স্বপনের বাড়ির পাশেই মায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবি পুলিশ জানায় মামলার ঘটনায় তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার সাইফুল ইসলাম নামে ১জনকে গ্রেফতার করা হয়।তার দেওয়া তথ্যে মতে জানা যায় তিনিসহ ৪-৫ জন মিলে ওই নারীকে হত্যার পর মরদেহ খনিজনগর এলাকার স্বপনের বাড়ির পাশে মাটি চাপা দেন। সেখানে গিয়ে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মোবাশশিরা হাবীব খান বলেন ওই নারী নিখোঁজের ঘটনার পর ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশ ও সাভার মডেল থানা পুলিশ যৌথভাবে তদন্তে নেমে একজনকে গ্রেফতার করে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তি হত্যার পর সীমার মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে রেখেছে বলে জানায়।তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই মরদেহ হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী স্বপনের বাড়ির পাশ থেকে মাটি চাপা চাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।তিনি বলেন এ ঘটনায় জড়িত আরও কয়েকজনের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। তবে হত্যার কারণ এখনও সুনির্দিষ্ট নয়। তদন্ত চলছে।
গত ১৩ ই মে গোপন খবরের ভিত্তিতে খনিজনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুল হামিদ ও স্থানীয় স্বপনের স্ত্রী পপি আক্তারকে (২০) গ্রেফতার করে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।