মোহাম্মদ নোমান,রামু,কক্সবাজার।
কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে শীর্ষ ৪ ডাকাত ডাকাত'কে আটক করেছেন র্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটিলিয়ন (র্যাব)।এসময় তাদের কাছথেকে দেশীয় তৈরী ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে কোরালখালী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।আটককৃত আসামীরা হলেন চকরিয়া কোরালখালী এলাকার আকবর আহম্মেদ'র পুত্র বেলাল হোসেন,কামাল আহম্মেদ,আব্দুল মালেক এবং তাদের সহযোগী একই এলাকায় মৃত জহির আহম্মেদ পুত্র নুরুল আমিন।
স্থানীয়রা জানান চকরিয়া বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সারা বছর মৌসুমে লবণ চাষ এবং চিংড়ি চাষ করা হয়ে থাকে।মূলত লবণ চাষের মৌসুম শেষে চিংড়ি চাষের প্রস্তুতি শুরু হলেই একদল সন্ত্রাসীরা চাষিদের নিকট চাঁদা দাবী করে।চাঁদা না পেলে মাছের ঘেরে লুটপাট ও নাশকতা সৃষ্টি করে।সাম্প্রতিক সময়ে চিংড়ি জোনে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব ও লুটপাটের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে বলে জানায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র।দেশি ও বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দ্বারা সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় ত্রাশ সৃষ্টি করতো।তারা মালুটপাট,অপহরণ চাঁদাবাজি,ডাকাতি, ছিনতাই,জমি দখল,চিংড়ি ঘের দখল,লবণের মাঠ ও আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বলে র্যাবকে জানায়।
তথ্যসূত্রে জানা যায় গ্রেফতারকৃত বেলাল হোসেন একজন দুর্ধর্ষ ডাকাত।তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে ৯টি মামলা,কামাল আহমদের বিরুদ্ধে রয়েছে পুলিশ এ্যাসল্ট ও অপহরণসহ মোট ৬টি মামলা,আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা ও নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে ১টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।র্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটিলিয়ন (র্যাব) জানায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।