বিশেষ প্রতিবেদক,দৈনিক প্রথম সকাল।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর আবির্ভাব ছিল একটি বিস্ময়কর ব্যাপার।মানবজাতি তার আগমনে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সব অত্যাচার-অনাচার,কুসংস্কার,নিষ্ঠরতা,সামাজিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত,মানবিক অসাম্য ও মানবাধিকার বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিষ্কৃতি লাভের আলোকিত পথের সন্ধান পায়।রবিবার ১৫ ই সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর মহিমান্বিত সত্তার আবির্ভাব ঘটে এ পৃথিবীতে।এ দিনটি শেষ নবীর জন্মদিন হিসেবে মুসলমানের মাঝে পালিত একটি উৎসব।সৃষ্টির সেরা মানব বিশ্বনবীর মতো এ মহান নেয়ামতের আগমন দিবস কতই না মর্যাদাবান,গুরুত্ববহ, কতই না আনন্দের তা সহজেই অনুমেয়।আজ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও মানবতার পথ প্রদর্শনকারী মহানবীর ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন উল্লেখ করে তিনি বলেন আল্লাহ তায়ালা তার মর্যাদা সুউচ্চ আসনে অভিষিক্ত করেছেন।পৃথিবীতে মানুষ ইহজগত ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় এ দিনে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন মহানবী (সাঁঃ) মানব জাতির জন্য এক অত্যুজ্জ্বল অনুকরণীয় আদর্শ।নিজ যোগ্যতা,সততা, মহানুভবতা,সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম,আত্মপ্রত্যয়,অসীম সাহস,ধৈর্য,সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস,নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ-যন্ত্রণা ভোগ করে তিনি তাঁর উপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল কোরআনের বাণী তথা তওহিদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন।
তারেক রহমান বলেন আইয়ামে জাহেলিয়াতের আমলে আইন,বিচার ও প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান অনাচার,মানুষে মানুষে হানাহানি,যুগের পর যুগ যুদ্ধ-বিগ্রহ,নিজ কন্যাকে জীবন্ত কবর,ব্যভিচার,মদ ও জুয়া ছিল সমাজে উচ্চস্তরের নিত্যদিনের কাজ।এ সময় যাঁর আগমন হয়েছিল তিনি হলেন রহমাতুল্লিল আলামিন।মহানবী (সাঃ) আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূরীভূত করে সত্য ও ইনসাফ নিশ্চিত করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন সমাজে অবহেলিত,নির্যাতিত,বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন,পরমতসহিষ্ণুতা,দয়া ও ক্ষমাগুণ,শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সাঃ)-এর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত।
সর্বশেষে তারেক রহমান বলেন আমি আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের নিকট প্রার্থনা করি, মহানবী (সাঃ)-এর শিক্ষা,আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি।আমি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হজরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও তাঁর প্রতি সালাম জানাই।