বিশেষ প্রতিনিধি,দৈনিক প্রথম সকাল।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন বলেছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।আগামী নভেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় "বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল,টেকনিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক)" শীর্ষ সম্মেলনের এক ফাঁকে ২ নেতার প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হতে পারে।গতকাল মঙ্গলবার ১ লা অক্টোবর বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ২ দেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন তিনি।বিমসটেক সম্মেলনটি প্রাথমিকভাবে গত ৪ ঠা সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়।কিন্তু পরে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়।থাইল্যান্ড সংস্থার পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক হতে চলেছে,যেখানে বাংলাদেশ বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেবে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনকালে (ইউএনজিএ) সময় সূচির অমিলের কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের সরকার প্রধানদের মধ্যে কোনো বৈঠক হয়নি।ইউএনজিএ অধিবেশন চলাকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্করের সাথে তার বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে , উভয় পক্ষই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জোরদার সম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করে তৌহিদ হোসেন বলেন ২ দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন করা বাংলাদেশ ও ভারত দু'দেশের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এছাড়া উভয় পক্ষ ভ্রমণকারী নাগরিকদের ভিসা প্রক্রিয়া স্বাভাবিক করার বিষয়ে আলোচনা করেছে।
তিনি বলেন মেডিকেল ভিসা ছাড়া আপাতত ভারত কোনো ভিসা দিচ্ছে না।দেশটি আশা প্রকাশ করেছে শীঘ্রই ভিসা ব্যবস্থা পুনরায় চালু হবে।তিনি আরও বলেন ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন।তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে অন্য কোনো বাইরের দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।উল্লেখ্য বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ায় ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে সম্পর্কে কিছুটা টানাপোড়েন চলছে।