স্টাফ রিপোর্টার,দৈনিক প্রথম সকাল।
নওগাঁ মহাদেবপুর উপজেলার খোশালবাড়ি গ্রামে পানি গড়ানো ড্রেন নিয়ে দ্বন্দ্বে একই পরিবারের ১ জনকে দেশি অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে জখম ও আরেকজনের হাত ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে ফিরোজ হোসেন ও তার বাবা আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে।এ ঘটনায় আরো ২ জন আহত হয়েছে।গতকাল বুধবার ২১ শে আগষ্ট সকালের দিকে উপজেলার খোশালবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।ঘটনায় গুরুতর আহত এনামুল ও তার ভাগ্নেকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে ও আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় টিউবওয়েলর পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন পরিষ্কার করেন ছাফতুল আলী মন্ডলের ছেলে শাহাদাত হোসেন।ড্রেন পরিষ্কারের কথা জানতে পেরে ১ সপ্তাহ পরে প্রতিবেশী আবুল হোসেন ও তার ছেলে ফিরোজ হোসেন বুধবার সকালের দিকে শাহাদাত এর বাড়িতে দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে।প্রতিবাদ জানালে দেশী অস্ত্র নিয়ে আসেন ফিরোজ হোসেন এবং এক পর্যায়ে ছাফতুল আলী মন্ডলের ছোট ছেলে এনামুলকে মাথায় কোপ দেয় ও এবং এনামুলের ভাগ্নের হাত ভেঙ্গে দেয়।
পরিবারের আরও সদস্য রেজাউল ও হাফিজুল রহমানের স্ত্রী এগিয়ে এলে তাদেরকে বেধড়ক মারধর ও শ্লীলতাহানি ঘটায় আবুল হোসেন।শাহাদাত হোসেন (৩৫) বলেন দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সাথে তারা শত্রুতা করে আসছে।আমি ড্রেন পরিষ্কার করেছি সাত দিন আগে কারণ অতিরিক্ত গাছের পাতা পড়ে ড্রেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল সেজন্য পাশাপাশি তাদের বাড়ির পানিও এই ড্রেন দিয়ে যায়।আজকে সকালে আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকেসহ আমার ভাই ও ভাবীদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে।প্রতিবাদ করলে আবুল হোসেন ও তার ছেলে ফিরোজ রামদা (দেশীয় অস্ত্র) দিয়ে আমার ছোট ভাইকে মাথায় কোপ দেয় আর আবার আরেক ভাই এর হাত ভেঙ্গে দেয়।এর আগেও অনেকবার আমাকে তারা মেরেছে।কিছুদিন আগেও আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল এলাকাবাসী উদ্ধার করেছে।আমাদের পরিবারের উপর বার বার তারা হামলা চালায়।মাঝে মাঝে নিজেকে অসহায় মনে হয় কারণ আমি মারামারি পছন্দ করিনা বলেই তারা এ সুযোগ নেয়।
তিনি আরও বলেন আবুল হোসেন একজন পুরুষ মানুষ হয়েও আমার ভাবির গায়ে হাত দেয় এবং শ্লীলতাহানি ঘটায়।তাদের কাছে সব সময় অস্ত্র থাকে, তাদের অত্যাচারে আমরা সবাই অতিষ্ঠ। এটার সুষ্ঠ বিচার দাবি জানাই।সাদ্দাম হোসেন বলেন আমার মামাদের প্রতি সব সময় অত্যাচার করে পাশের বাড়ির প্রতিবেশী আবুল হোসেন ও তার ছেলে ফিরোজ।আজকে সকালে হঠাৎ করে গালাগালি শুরু করে আবুল হোসেন পড়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার মামা এনামুলকে রামদা (দেশীয় অস্ত্র) দিয়ে মাথায় কোপ দেয় তখন আমরা সবাই দিশেহারা হয়ে যাই এবং ফিরোজকে আটকাতে যাই তখন সে আমার হাত ধরে এবং প্রচন্ড আঘাত করতে থাকে এক পর্যায়ে আমার হাত ভেঙ্গে যায়।
এনামুল বলেন আসলে আমার কথা বলার শক্তিটুকু নেই,মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়েছি প্রায় ৬-৭ টা সেলাই দিতে হয়েছে।এমন অমানবিক ঘটনা ঘটবে আমি কল্পনাও করতে পারিনি।সব সময় তারা আমাদের পরিবারের প্রতি জুলুম করে। আমি এটার সুষ্ঠ বিচার চাই।এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রুহুল আমিন বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।