জেলা করেসপন্ডেন্ট,দৈনিক প্রথম সকাল।
কুষ্টিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত বাবলু ফারাজী (৫৮) এবং ইউসুফ শেখ (৬৬) নামে ২জন নিহত হওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল উল আলম হানিফের বিরুদ্ধে পৃথক দু'টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।এ নিয়ে কুষ্টিয়ায় হানিফের নামে ৪টি হত্যা মামলা দায়ের হলো।গতকাল সোমবার ১৯ ই আগস্ট বিকেলে নিহত বাবুল ফারাজীর ছেলে সুজন মাহমুদ বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানার আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে নির্দেশদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে।এর আগে গত শুক্রবার ১৬ ই আগস্ট দুপুরে কুষ্টিয়া সদর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয় হানিফের বিরুদ্ধে।
এই মামলায় কুষ্টিয়ার সাবেক তিন সংসদ সদস্য মাহাবুব উল আলম হানিফ, কামারুল আরেফিন,আব্দুর রউফ,কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ,কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মাহফুজুল হকসহ আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মী ও জন-প্রতিনিধিসহ মোট ১২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৪০/৫০ জনকে।জানা যায় গত ৫ ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিকেল ৩টার দিকে শহরের থানার মোড় এলাকায় বাবুলকে গুলি করে ও এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যা করা হয়।তিনি শহরের বিভিন্ন জায়গায় ফেরি করে গামছা,বিছানার চাদর ও লুঙ্গি বিক্রি করতেন।বাবুল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামের মৃত নওশের আলীর ছেলে।
অপরদিকে ৫ ই আগস্ট বিকেলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ইউসুফ শেখ (৬৬) নামে একজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সোমবার সকালে কুষ্টিয়া সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।নিহত ইউসুফ শেখের মেয়ে সীমা খাতুন এ মামলাটি দায়ের করেন।একই দিন ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শহরের ফায়ার সার্ভিসের সামনে নূর টেইলার্স গলির ভেতরে ইউসুফকে গুলি করে হত্যা করা হয়।তিনি কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে চাকরি করতেন।ইউসুফ চর থানা পাড়ার শহীদ আবুল কাশেম সড়কের মৃত এদাত আলী শেখের ছেলে।এ ঘটনায় সোমবার সকালে করা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মী ও জন-প্রতিনিধিসহ মোট ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরও ২০-৩০ জনকে।