জেলা করেসপন্ডেন্ট,চুয়াডাঙ্গা।
চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণকালে বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড ও জরিমানা করেছেন মোবাইল কোর্ট।গতকাল মঙ্গলবার ২১ শে মে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।মোবাইল কোর্ট সূত্রে জানা যায় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা জাহান সুমাইয়া মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের রুইথনপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রিপনকে (৩১) সরকার কর্তৃক জারিকৃত যথাযথ আদেশ অমান্য করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে দন্ডবিধি ১৮৮ ধারায় ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।
এরপর বিকেল ৪টায় আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের হাঁপানিয়া গ্রামের খাজমত আলীর ছেলে কায়েম আলীকে (৬২) নির্বাচনে অন্যায় প্রভাব প্রয়োগের কারণে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৭১ (চ) ধারায় ৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড,একই সময় একই উপজেলা ও গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে আতিউল্লাহকে (৬২) একই ধারায় ৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড,একই গ্রামের ঈশার উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আজিবর রহমানকে (৫৫) একই ধারায় ৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও হারেজ উদ্দীনের ছেলে মুনতাজ আলীকে (৫৫) ৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
এদিকে জেষ্ঠ্য সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মোঃ রাসেল মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের বগাদী ভোট কেন্দ্রে ভোগাইল বগাদী গ্রামের আনাবুল ইসলামের ছেলে সুজনকে (২৬) সরকার কর্তৃক জারিকৃত যথাযথ আদেশ অমান্য করে কেন্দ্রের পাশে শোডাউন ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য দন্ডবিধি ১৮৮ ধারায় ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
এছাড়া চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাসিনা মমতাজ নির্বাচনে অন্যায় প্রভাব প্রয়োগের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর গ্রামের মৃত রবজেল হোসেনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম আব্দুল্লাহকে (৪৯) দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৭১(চ) ধারায় ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।কারাদন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের পুলিশের সহায়তায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।