বিশেষ প্রতিবেদক,দৈনিক প্রথম সকাল।
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সারা দেশে সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও রবিবার ৪ ই আগস্ট সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।শনিবার (০৩ আগস্ট) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে রেলওয়ে।কোটা সংস্কার আন্দোলনে ব্যাপক সহিংতার জেরে ১৮ ই জুলাই থেকে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।১৩ দিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার স্বল্প দূরত্বে সীমিত সংখ্যক ট্রেন চলাচল শুরু হয়।দুই দিন চলার পর আবার তা বন্ধের ঘোষণা এল।
ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মোঃ আনোয়ার হোসেন শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন "একটু আগেই আমরা ডিজি মহোদয়ের কাছ থেকে একটা নোটিশ পেয়েছি। তাতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।"সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে গত ১৬ ই জুলাই ঢাকা,গাজীপুর, চট্টগ্রাম,ফেনী এবং ময়মনসিংহ,রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করা হয়।তাতে কয়েক ঘণ্টার জন্য ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
পরের দিন ট্রেন চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল।তবে ১৮ ই জুলাই "কমপ্লিট শাটডাউন" কর্মসূচির দিন সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।সেদিন ঢাকার মহাখালীতে রেললাইনে আগুন ধরিয়ে অবরোধ করা হয়। রেলপথের টঙ্গী-ভৈরব অংশের নরসিংদীতে রেললাইন তুলে ফেলা হয়।ঢাকার বাইরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রেলপথ অবরোধ করা হয়।নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ১৮ ই জুলাই দুপরের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন রুটে ট্রেনের সব যাত্রা বাতিল ঘোষণা করা হয়।এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর ২৫ ই জুলাই ঘোষণা এসেছিল বৃহস্পতিবার থেকে সীমিত পরিসরে ট্রেন চালার কথা জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ে।